জয়দেব স্বজ্জন। পটুয়াখালী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ তিনি। সাত বছর ধরে শিক্ষকদের জন্য নির্মিত ভবনে থাকলেও কোনো ভাড়া দেন না বলে অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। এভাবে তিনি কমপক্ষে ২০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ। তবে সরকার চাইলে এ টাকা ফেরত দেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০১২ খ্রিষ্টাব্দের ২৬ আগস্ট পটুয়াখালী সরকারি কলেজে উপাধ্যক্ষ হিসেবে যোগ দেন অধ্যাপক জয়দেব। তখন থেকেই কলেজ ক্যাম্পাসের পশ্চিম দিকে শিক্ষকদের জন্য নির্মিত দোতলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় সপরিবারে থাকছেন তিনি। নিরাপত্তার জন্য ভবনটির চারপাশে সিসিটিভি ক্যামেরা বসিয়েছেন জয়দেব। তাঁর ব্যবহৃত কক্ষে এয়ার কন্ডিশনারও আছে। সরকারি ভবনে থাকলে বেতন থেকে ভাড়া কাটার নিয়ম আছে। কিন্তু সরকারি ভবনে থাকেন না— এ মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রতি মাসে পুরো বেতন তুলে নেন জয়দেব। এর মধ্যে ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দের ১ মার্চ অধ্যক্ষের দায়িত্ব পান তিনি। উপাধ্যক্ষ থাকাকালেই কমপক্ষে ১৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন জয়দেব। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত অন্তত ২০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন তিনি।
কিন্তু অভিযুক্ত অধ্যক্ষ জয়দেবের দাবি, ‘আমি যে ভবনে থাকি সেটি পরিত্যক্ত।’ তবে কবে ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে তা বলতে পারেননি তিনি। এমনকি পটুয়াখালী জোনের শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরও এ বিষয়ে কিছু জানাতে পারেনি। তবে জয়দেব বলেন, ‘সরকার চাইলে আমি যে টাকা নিয়েছি, তা ফেরত দিয়ে দেব।’
অন্যদিকে অধ্যক্ষের এ ধরনের কাজে বিব্রত বলে জানিয়েছেন কলেজটির শিক্ষক পরিষদের সচিব গাজী জাফর ইকবাল।