চট্টগ্রামের ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (ইউএসটিসি) ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক মাসুদ মাহমুদের চরিত্রহননের অপচেষ্টা চলছে উল্লেখ করে এর প্রতিবাদে বিবৃতি দিয়েছেন ৫০৭ জন। বিবৃতিদাতারা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষাবিদ, বুদ্ধিজীবী, গবেষক, সাহিত্যকর্মী, গণমাধ্যমকর্মী, সমাজকর্মী, বিশিষ্ট নাগরিক ও পেশাজীবী। গতকাল মঙ্গলবার ৫০৭ জনের নাম ও পদবি উল্লেখ করে গণমাধ্যমে এই বিবৃতি পাঠানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, শ্রেণিকক্ষে অপ্রাসঙ্গিকভাবে যৌনতাবিষয়ক আলোচনার যে অভিযোগ অধ্যাপক মাসুদ মাহমুদের বিরুদ্ধে আনা হয়েছে, তা আমাদের ক্ষুব্ধ ও বিচলিত করেছে। তিনি চার দশক ধরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ইংরেজি বিভাগে অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে অধ্যাপনা করেছেন। এর আগে তার বিরুদ্ধে কখনও শ্রেণিকক্ষে বা তার বাইরে নীতিবিরুদ্ধ কোনো কাজে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগ আসেনি। অবসর গ্রহণের পর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করার সময় তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত এ অভিযোগ আপত্তিকর ও অবিশ্বাস্য। ইউএসটিসির ইংরেজি বিভাগের উন্নয়নের স্বার্থে মাসুদ মাহমুদের নেওয়া কিছু পদক্ষেপে কিছু মানুষের স্বার্থে আঘাত লাগার ফলে শিক্ষার্থীদের কাজে লাগিয়ে ষড়যন্ত্র চালানো হচ্ছে। অবিলম্বে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে অভিযোগ থেকে মাসুদ মাহমুদকে মুক্তি দেওয়া হোক।
বিবৃতিদাতারা হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরিন ও অধ্যাপক ফাহমিদুল হক, চবির ইংরেজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মঈনুল হাসান চৌধুরী, ঢাবির ইংরেজি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক কাজল বন্দ্যোপাধ্যায়সহ ৫০৭ জন।