ঢাকা কলেজের অর্থনীতির বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক শামীম আরাকে মৌলভীবাজার সরকারি কলেজে বদলির আদেশটি বাতিল করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সোমবার (১৭ জুন) মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়। উল্লেখ্য, অধ্যাপক শামীম আরাকে মৌলভীবাজার সরকারি কলেজে বদলি করায় বিস্ময় প্রকাশ করেছিলেন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের আওয়ামী লীগপন্থি কর্মকর্তারা।
গত মার্চ ও মে মাসে শিক্ষা প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি পদে দুর্নীতিবাজ, বিতর্কিত, ছাত্রশিবিরমনস্ক ও জুনিয়র কর্মকর্তাদের বসানোয় গোটা শিক্ষা ক্যাডারে অসন্তোষ বিরাজ করছে। শিক্ষা প্রশাসন থেকে জুনিয়রদের না সরালে শিক্ষা ক্যাডারের চাকরি থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করবেন বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন কয়েকজন সিনিয়র কর্মকর্তা। এরই মধ্যে গত ৩০ মে ঢাকা কলেজের অধ্যাপক ও শিক্ষা ক্যাডারের সিনিয়র কর্মকর্তা শামীম আরাকে মৌলভীবাজার সরকারি সরকারি কলেজে বদলির আদেশ জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ নিয়ে শিক্ষা ক্যাডারে আওয়ামী লীগপন্থি কর্মকর্তারা অসন্তুষ্ট ছিলেন। অবিলম্বে শামীম আরাকে শিক্ষা অধিদপ্তরের কলেজ শাখার পরিচালক পদে পদায়ন করার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
এদিকে, শিক্ষা প্রশাসনের অতি গুরুত্বপূর্ণ পদে না দিয়ে আরেক আওয়ামী লীগপন্থি কর্মকর্তা কামরুন নাহারকে রাজধানীর দুয়ারিপাড়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ করা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তুখোড় নেত্রী কামরুন নাহারকে শিক্ষা অধিদপ্তর কিংবা নায়েমে না দিয়ে কলেজে দেয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগপন্থি কর্মকর্তারা। আর কামরুন নাহারকে অধিদপ্তর কিংবা পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের গুরুত্বপূর্ণ পদে দেয়ার দাবি জানানো হয়। একই সাথে বাড়ৈ সিন্ডিকেটের দেয়া তালিকা অনুযায়ী বদলি-পদায়ন বন্ধের আহ্বান জানানো হয়।
উল্লেখ্য, শিক্ষা প্রশাসনের অতি গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে শিক্ষাজীবনে ছাত্রশিবির করা, চাকরিজীবনে গুলিবিদ্ধ ও মদ্যপ অবস্থায় গণপিটুনী খাওয়া, বউ পেটানো, স্ত্রী হন্তারক, নিয়োগ বাণিজ্য ও প্রশ্নফাঁসে অভিযুক্তরাও বছরের পর বছর ধরে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: অধ্যাপক শামীম আরার বদলি: লীগপন্থি শিক্ষা ক্যাডারদের অসন্তোষ