ঢাকা কলেজের অর্থনীতির বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক শামীম আরাকে মৌলভীবাজার সরকারি কলেজে বদলি করায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের আওয়ামী লীগপন্থি কর্মকর্তারা। গত মার্চ ও মে মাসে শিক্ষা প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি পদে দুর্নীতিবাজ, বিতর্কিত, ছাত্রশিবিরমনস্ক ও জুনিয়র কর্মকর্তাদের বসানোয় গোটা শিক্ষা ক্যাডারে অসন্তোষ বিরাজ করছে। শিক্ষা প্রশাসন থেকে জুনিয়রদের না সরালে শিক্ষা ক্যাডারের চাকরি থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করবেন কয়েকজন সিনিয়র কর্মকর্তা। প্রতিবাদস্বরূপ চাকরি থেকে অব্যহতি নিতে চাওয়া এই কর্মকর্তারা শিক্ষাজীবনে বঙ্গবন্ধুর সৈনিক ছিলেন। সম্প্রতি দৈনিক শিক্ষার কাছে আলাপকালে তারা এমন মনোভাব ব্যক্ত করেন।
জানা যায়, শিক্ষাজীবন থেকে বঙ্গবন্ধুর সৈনিক ঢাকা কলেজের অধ্যাপক শামীম আরার স্বামী উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক এস এম কেরামত আলী। সরকারি চাকরিজীবী দম্পতির জন্য প্রচলিত অতি সাধারণ নিয়মের আশ্রয়ও পাননি শামীম আরা। অথচ শিক্ষা প্রশাসনের অতি গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে শিক্ষাজীবনে ছাত্রশিবির করা, চাকরিজীবনে গুলিবিদ্ধ ও মদ্যপ অবস্থায় গণপিটুনী খাওয়া, বউ পেটানো, স্ত্রী হন্তারক ও প্রশ্নফাঁসে অভিযুক্তরাও বছরের পর বছর ধরে রয়েছেন।
জানা যায়, শিক্ষা প্রশাসনের অতি গুরুত্বপূর্ণ পদে না দিয়ে আরেক আওয়ামী লীগপন্থি কর্মকর্তা কামরুন নাহারকে রাজধানীর দুয়ারিপাড়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ করা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তুখোড় নেত্রী কামরুন নাহারকে শিক্ষা অধিদপ্তর কিংবা নায়েমে না দিয়ে কলেজে দেয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগপন্থি কর্মকর্তারা। তারা অবিলম্বে শামীম আরাকে শিক্ষা অধিদপ্তরের কলেজ শাখার পরিচালক পদে পদায়ন করার দাবি জানিয়েছেন। আর কামরুন নাহারকে অধিদপ্তর কিংবা পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের গুরুত্বপূর্ণ পদে দেয়ার দাবি জানানো হয়। একই সাথে বাড়ৈ সিন্ডিকেটের দেয়া তালিকা অনুযায়ী পদায়ন/বদলি বন্ধের আহ্বান জানানো হয়।
রোববার (৯ জুন) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের বারান্দায় শিক্ষা ক্যাডারের শত শত কর্মকর্তাকে ঘোরাঘুরি করতে দেখা গেছে। তাদের অনেককেই বিতর্কিত বাড়ৈ সিন্ডিকেটের দেয়া তালিকা অনুযায়ী শাস্তিমূলক বদলি/পদায়ন করা হয়েছে।