অনলাইনে পাওয়া যাবে ঢাবির সব পরীক্ষার ফল

ঢাবি প্রতিনিধি |

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সব বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার ফলাফল দেখা যাবে ওয়েবসাইটে। এই কার্যক্রমের প্রথম দিকে কেবল সেমিস্টার ফাইনালের ফল দেখা যাবে। পরবর্তীতে ইনকোর্স/মিডটার্ম পরীক্ষার ফলাফলও জানা যাবে। এছাড়া অনলাইনের মাধ্যমেই সার্টিফিকেট এবং মার্কশিটের টাকা জমা দেয়া যাবে। চলতি সপ্তাহের মধ্যেই এমন সেবা শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেয়া হবে বলে জানা গেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) পক্ষ থেকে এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

রবিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেন ডাকসুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আরিফ ইবনে আলী। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যেই কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলে জানান তিনি। শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে একাডেমিক সকল কার্যক্রমে ডিজিটালাইজেশনের আওতায় আনতে এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানান ডাকসুর এই নেতা।

বর্তমানে এনালগ পদ্ধতিতে ফল জানতে হয় শিক্ষার্থীদের। বড় ধরনের কোনো ভুল না হলে ফলাফলে অসঙ্গতি থাকলেও জানার সুযোগ থাকে না তাতে। এমনকি মার্কশিট ও সার্টিফিকেট তুলতেও নানা ধরনের ধকল ও হয়রানির শিকার হন শিক্ষার্থীরা।

ডিজিটালাইজেশনের কার্যক্রমে আওতায় প্রথম দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে নিজেদের পরীক্ষার ফলাফল জানতে পারবে শিক্ষার্থীরা। ইতোমধ্যে ‘result.du.ac.bd’ নাম স্থির করা হয়েছে ওই ওয়েবসাইটের। এখন শুধু আনুষ্ঠানিকতা বাকি। এছাড়াও পরবর্তীতে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমেও এ ফলাফল জানা যাবে। সে লক্ষ্যেও বিভিন্ন টিমের সাথে কাজ চলছে বলে জানা গেছে।

তবে অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের অধীনে পরিচালিত ইভিনিং কোর্সের বিষয়ে ভাবছে না ডাকসু। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হিসেবে তাদেরকেই আগে প্রাধ্যন্য দিতে হবে বলে মনে করছে ডাকসু।

জানা যায়, দীর্ঘ ২৯ বছর পর ডাকসু নির্বাচন হয়েছে। ডাকসু নির্বাচন এর পর থেকে ছাত্রছাত্রীদের আশা আকাঙ্ক্ষা বেড়েছে। ২৮ বছর পর ডাকসু নির্বাচন হলেও ডাকসুতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদটা ছিলনা আগে। এবারই এই নতুন পদের সৃষ্টি করা হয়।

সার্বিক বিষয় নিশ্চিত করে ডাকসুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আরিফ ইবনে আলী  বলেন, ‘ডাকসু ইতোমধ্যেই শিক্ষার্থীদের নিয়ে সেমিনার, ডিফারেন্ট ওয়ার্কসপ এবং এক্সেঞ্জ প্রোগ্রাম করেছেন। শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা ছিল যে রেজিস্ট্রার বিল্ডিংয়ের কার্যক্রমগুলো অনলাইনভিত্তিক হোক। এর আগে আমি জানতে চাই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের চাহিদাটা আসলে কি। তার পরিপ্রেক্ষিতে অনলাইনের মাধ্যমে মার্কশিট এবং সার্টিফিকেট দেওয়ার ব্যবস্থা করছি।’

এ সময় তিনি উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আগামী তিন-চার দিনের মধ্যে এই সেবাটি আমরা শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দিব।’

শিক্ষার্থীরা অনেক দিন ধরে মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রমের বিভিন্ন ফি জমা দেওয়ার দাবি জানিয়েছে। সে বিষয়ে তিনি বলেন, ‘অনলাইন ব্যাংকিং প্রক্রিয়ার জন্য ইতোমধ্যেই মোবাইল অপারেটর-এর সাথে কথা বলেছি আমরা। তবে আগে থেকে যেহেতু এই প্রক্রিয়াটি ছিলনা তাই একটু সময় লাগবে।’

পরবর্তী ডাকসু নির্বাচনে যিনি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক হবেন তিনি যেন ডিজিটালাইজেশন প্রসেসটা ধরে রাখতে পারেন সেরকম কিছু করে যাবেন উল্লেখ করেন তিনি।

অধিভুক্ত সাত কলেজ এবং ইভিনিং কোর্সের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এগুলো আমাদের বিবেচ্য বিষয় নয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ভোট দিয়ে আমাকে নির্বাচিত করেছেন তাদের বিষয়ে কাজ করার জন্য। তাই তাদেরটা আগে, বাকিদেরটা পরে। তাদের দিকেই আপাতত আমাদের ফোকাস থাকছে। তবে ধীরে ধীরে সেগুলোও প্রক্রিয়ার মধ্যে নিয়ে আসা উচিত বলে মনে করেন তিনি’।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন - dainik shiksha ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে - dainik shiksha জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা - dainik shiksha রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0056960582733154