অনাবাসিক তকমা ঘুচলো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের

ইকবাল কবীর সম্রাট, জবি প্রতিনিধি |

গৌরব,ঐতিহ্য ও সাফল্যের সাথে আজ ষোল তম বর্ষে পদার্পণ করলো ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। উদ্বোধন করা হলো ‘বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল’ নামে ১৬ তলাবিশিষ্ট ১ হাজার আসনের একমাত্র ছাত্রী হল। এর মাধ্যমে অনাবাসিক তকমা ঘুচলো জবির।

ঊনবিংশ শতাব্দীতে ঢাকায় পূর্ববঙ্গ ব্রাহ্ম সমাজের শিক্ষা কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় ব্রাহ্ম স্কুল। সেই ব্রাহ্ম স্কুল থেকে দেড় শতকের রূপান্তরের ইতিহাস পেরিয়ে ২০০৫ খ্রিষ্টাব্দে এটি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। একটি পাঠশালা হিসেবে যাত্রা শুরু করে দেড় শতকের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে এর অগ্রযাত্রার ইতিহাস বড়ই রোমাঞ্চকর।

উপমহাদেশে প্রথম দিকের একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে সে সময় শুরু হয়েছিল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। জগন্নাথ কলেজ এই নামেই বিংশ শতাব্দীর অধিকাংশ সময় জুড়ে পরিচিত ছিল। এটি ঢাকার একটি ঐতিহ্যবাহী কলেজ।

মহামারি করোনার কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার চত্বরে বেলুন উড়িয়ে, জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন এবং জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদ্বোধন করা হয়।

সকাল সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম ছাত্রী হল বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল উদ্বোধন করে। এরপর ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। 

আলোচনা সভায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা ২০০৫ খ্রিষ্টাব্দের হলেও মাত্র ৭ দশমিক ৫ একর জমির উপর মূলত ২০১১ খ্রিষ্টাব্দ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে যাত্রা শুরু করে। শতভাগ অনাবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে অন্যান্য সকল সমস্যা অতিক্রম করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সমসাময়িক অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় এগিয়ে যাচ্ছে। অবকাঠামোগত যে সংকট রয়েছে নতুন ক্যাম্পাস স্থাপনের মাধ্যমে সেটিও নিরসন হবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল সম্পদ হচ্ছে মেধাবী শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় শতাধিক শিক্ষক পিএইচডি গবেষণা করছেন।  মানব সম্পদ উন্নয়নে আমরা অনেক এগিয়ে রয়েছি। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের গবেষণা আরও বৃদ্ধি করতে হবে, কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে তা যেন আন্তর্জাতিক মানের হয়। যে কোন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় আমাদের শিক্ষার্থীদের অবস্থান সবার শীর্ষে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
ফল জালিয়াতি: পদে রেখেই সচিবের বিরুদ্ধে তদন্ত - dainik shiksha ফল জালিয়াতি: পদে রেখেই সচিবের বিরুদ্ধে তদন্ত শিক্ষক-কর্মচারী বদলি নীতিমালার কর্মশালা কাল - dainik shiksha শিক্ষক-কর্মচারী বদলি নীতিমালার কর্মশালা কাল দুবাইয়ে বন্যায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা - dainik shiksha দুবাইয়ে বন্যায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের বিএসসির সমমান দিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কমিটি - dainik shiksha ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের বিএসসির সমমান দিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কমিটি ৯৬ হাজার ৭৩৬ শিক্ষক নিয়োগ, আবেদন করবেন যেভাবে - dainik shiksha ৯৬ হাজার ৭৩৬ শিক্ষক নিয়োগ, আবেদন করবেন যেভাবে ফিলিস্তিনকে সমর্থনের ‘অভিযোগে’ সেরা ছাত্রীর বক্তৃতা বাতিল - dainik shiksha ফিলিস্তিনকে সমর্থনের ‘অভিযোগে’ সেরা ছাত্রীর বক্তৃতা বাতিল মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষা হতে পারে জানুয়ারিতে - dainik shiksha মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষা হতে পারে জানুয়ারিতে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.003061056137085