পদোন্নতির ক্ষেত্রে প্রধান অন্তরায় অনুপাত প্রথা বাতিলের দাবি জানিয়েছে বেসরকারি কলেজ শিক্ষকরা। অনুপাত প্রথা থাকায় বেসরকারি কলেজ ও সমমানের প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশ প্রভাষককেই পুরো চাকরিজীবনে কোনও পদোন্নতি ছাড়াই অবসরে যেতে হয়। শুক্রবার (২২ মার্চ) বরিশাল শহিদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সাধারণ সভায় এ দাবি জানান তারা।
শিক্ষক নেতারা বলেন, জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ এর আলোকে এমপিওভুক্ত কলেজ শিক্ষকদের পদোন্নতির সুনির্দিষ্ট নীতিমালার কথা বলা হলেও আজ পর্যন্ত তা বাস্তবায়িত হয়নি। বরং জনবল কাঠামো-২০১৮ অনুসারে পূর্ববর্তী কালো আইন অনুপাত প্রথা বিদ্যমান রয়েছে। যা জাতীয় শিক্ষানীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এর সঙ্গে অধ্যক্ষ এবং উপাধ্যক্ষ নিয়োগের অভিজ্ঞতা ও যোগ্যতা পূর্ববর্তী জনবল কাঠামোর ধারা পরিবর্তন করে সহকারী অধ্যাপক পদে চাকরির মেয়াদ তিন বছর বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এতে হাজার হাজার প্রভাষক একই পদে চাকরি জীবন শেষ করতে বাধ্য হবে। যা বাংলাদেশ সংবিধানের মৌলিক চেতনা বিরোধী।
বৈঠকে বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন কলেজের শতাধিক পদোন্নতি বঞ্চিত শিক্ষক হাইকোর্টে রিট করে অনুপাত প্রথা বাতিলের দাবি আদায়ের ব্যাপারে একমত পোষণ করেন। দাবি আদায়ে একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে দপদপিয়া ইউনিয়ন ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক তাহেরুজ্জামান সেলিমকে। যুগ্ম আহবায়ক করা হয়েছে সৈয়দ আফছার আলী ডিগ্রি কলেজের মো. মনিরুল ইসলাম, জেড এ ভুট্টো ডিগ্রি কলেজের পঙ্কজ কুমার শিকদার, শহিদ জিয়াউর রহমান কলেজের মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, আখতার হোসেন চৌধুরী মেমোরিয়াল কলেজের রফিকুল ইসলাম, কলসকাঠী ডিগ্রি কলেজের সঞ্জীব দত্ত কাজল, বার্থী কলেজের শাহ মো. হানিফ, আরিফ মাহমুদ কলেজের মোল্লা আতিকুল ইসলামকে।
সদস্য সচিব নির্বাচিত করা হয়েছে সৈয়দ আফছার আলী ডিগ্রি কলেজের সহিদুল আলমকে। কাশীপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের এমদাদুল হক (টিপু) কে কোষাধ্যক্ষ মনোনীত করা হয়েছে। সভায় আগামী দুই মাসের মধ্যে রিট পিটিশন দায়ের করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।