গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার তারাইল বটতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি সংশ্লিষ্ট বিভাগের অনুমতি ছাড়াই বিদ্যালয়ের পাঁচটি গাছ কেটে বিক্রি করে দিয়েছে। ম্য্যানেজিং কমিটির সভাপতি হান্নান শিকদার, সহসভাপতি সাবু শিকদার ও সদস্য হাবিল সরদার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন না মেনেই গত এক সপ্তাহ আগে বিদ্যালয়ের দু’টি জাম গাছ, দু’টি রয়না গাছ এবং একটি দেবদারু গাছ কেটে বিক্রি করে টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন আনুযায়ী স্কুলের গাছ কাটতে হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও বন বিভাগের কাছে লিখিত আবেদন করতে হয়। সংশ্লিষ্ট বিভাগ অনুমোদন দিলেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গাছ কাটা যাবে। কিন্তু এই ধরনের প্রক্রিয়া ছাড়াই গাছ কেটে বিক্রি করেছেন অভিযুক্তরা। এতে স্কুলশিক্ষক ও এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক আছিয়া গাছ কাটার কথা স্বীকার করে বলেন, আমাদের কিছু না জানিয়েই ম্যানেজিং কমিটির লোকেরা স্কুলের জায়গার গাছ কেটে বিক্রি করে দিয়েছেন। আমরা বিষয়টি ফোনে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানিয়েছি।
বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. হান্নান শিকদার স্কুলের গাছ কেটে বিক্রি করে দেওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, স্কুলের নতুন ভবন নির্মাণ হবে। তাই আমি গাছ কেটে বিক্রি করে দিয়েছি। নতুন ভবন তৈরি করার জন্য জায়গা করে দিয়েছি। আমি নিয়ম জানি না বলেই এমন ঘটনা ঘটেছে। তবে গাছ বিক্রির টাকা শিক্ষকদের দিতে গেলে তারা টাকা নেননি।
কাশিয়ানী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা পরিমল চন্দ্র বালা বলেন, গাছ কাটার জন্য ওই স্কুলের পক্ষ থেকে আমাদের কাছে কোনো আবেদন করা হয়নি। আমরা গাছ কাটার বিষয়টি জানতে পেরে ওই ক্লাস্টারের এ.টি.ও.কে সরেজমিনে পাঠিয়েছিলাম।
কাশিয়ানী উপজেলা বন কর্মকর্তা দ্বীন মোহাম্মদ বলেন, গাছের মূল্য নির্ধারণের জন্য আমাদের কাছে একটি আবেদন করেছিল। তবে এখনও তাদের মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়া হয়নি।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে কাশিয়ানী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাব্বির আহমেদ বলেন, আমি প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার মাধ্যমে স্কুলের গাছ কাটার বিষয়ে একটি চিঠি পেয়েছি। অবশ্যই সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।