বুয়েটে নিষিদ্ধ করা হয়েছে ছাত্র রাজনীতি। দাবি উঠেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারা দেশের শিক্ষাঙ্গনে নিষিদ্ধের। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক তিন উপাচার্য বলছেন, ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করাই সমাধান নয়। বন্ধ করতে হবে ক্যাডারভিত্তিক, দলকানা পেশিশক্তির রাজনীতি। সোমবার (১৪ অক্টোবর) বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায় প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানা যায়। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন জয়শ্রী ভাদুড়ী।
সাক্ষাৎকারে আর জানা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী বলেছেন, দেশের ক্রান্তিলগ্নে ছাত্র সমাজ দিকনির্দেশনা দেয়। কিন্তু এখন রাজনীতিতে ঢুকে গেছে র্যাগিং, মাস্তানি, দলকানা, পেশিশক্তি নির্ভরতা। দেশের ৯০ শতাংশ শিক্ষার্থী নিরপেক্ষভাবে বিবেচনা করে। তাই ছাত্ররাজনীতি বন্ধ নয় বরং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অপরাজনীতি বন্ধ করতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক এই চেয়ারম্যান বলেন, ১৯৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ছয় দফা, ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে ছাত্র সমাজ অগ্রগামী ভূমিকা পালন করেছে। কিন্তু নিজেদের ফায়দায় বিএনপি ছাত্রদের ব্যবহার করতে শুরু করেছিল, এরপর আওয়ামী লীগও করেছে। পিছিয়ে নেই অন্য রাজনৈতিক দলও। ছাত্ররাজনীতির কোনো দোষ নেই। ছাত্ররা বিবেকের প্রতিনিধিত্ব করে। দলীয় রাজনীতির এক্সটেনশন হিসেবে ছাত্ররাজনীতিকে ব্যবহার করতে দেওয়া যাবে না। রাজনীতি বন্ধ করা তো স্বৈরশাসকের মতো আচরণ। কারণ ছাত্ররাজনীতি হলো বিবেকের আলোকবর্তিকা। তাই ছাত্ররাজনীতিকে পরিশীলিত করতে পেশিশক্তির অগ্রাধিকারকে নিষিদ্ধ করতে হবে।