বাগেরহাটের কচুয়ায় অপহরণের আড়াই মাস পর ছাত্রীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই ছাত্রী পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে, কয়েকজন যুবক জোর করে তাকে ধরে নিয়ে যায়। তারা একটি ঘরে আটকে রেখে দিনের পর দিন নানা নির্যাতন করেছে। গতকাল সোমবার (১ জুন) তাকে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। ছাত্রীকে অপহরণের দায়ে দুই যুবককে আটক করা হয়েছে।
অপহরণ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কচুয়া থানার এসআই মো. অহিদুল হক স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, অপহরণকারীরা ছাত্রীকে খুলনার দাকোপ উপজেলার বাজুয়া এলাকার একটি ঘরে আটকে রেখে নির্যাতন করত। সুযোগ বুঝে সেখান থেকে ওই ছাত্রী পালিয়ে মোংলার দ্বিগরাজ খেয়াঘাট এলাকায় চলে আসে। সেখান থেকে গতকাল রোববার (৩১ মে) তাকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় কচুয়ার টেংরাখালি গ্রামের শাহাজান ওরফে সাহা শিকদারের ছেলে তরিকুল শিকদার (২০) এবং সালাম শেখের ছেলে কাইয়ুম ওরফে আকাশ শেখকে (২০) আটক করা হয়েছে। তাদের বাগেরহাট বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
তিনি জানান, ওই ছাত্রী (১৫) কচুয়ার মালিপাটন আক্তারউদ্দিন মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণিতে পড়ে বলে তার কৃষক বাবা জানান। তাদের বাড়ি গোপালপুর ইউনিয়নের ফুলতলা গ্রাম। গত ১৬ মার্চ রাত ৯টার দিকে ওই ছাত্রী তার বাবার সাথে গ্রামের ফুলতলা হাফেজিয়া মাদরাসায় অনুষ্ঠিত ওয়াজ মাহফিল শুনতে যায়। সেখানে সিরাজ হাওলাদারের বাড়ির উঠানে নারীদের বসার স্থানে মেয়েকে রেখে বাবা পুরুষদের বসার নির্দিষ্ট স্থানে গিয়ে বসেন। কিন্তু ওয়াজ শেষে মেয়েকে আর খুঁজে না পেয়ে বাড়ি চলে যান তিনি। কিন্তু বাড়িতেও মেয়ে ফেরেনি। বিষয়টি গত ১৭ মার্চ কচুয়া থানায় সাধারণ ডায়রি করা হয়। যার নম্বর ৬১০।
এরপর ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে গত ১২ মে অপহরণ মামলা করেন। ওই আটককৃতরা অপহরণ মামলার আসামি।