অফিস কক্ষেই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ, পলাতক মাদরাসা সুপার

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি |

কুষ্টিয়ার মিরপুরে অষ্টম শ্রেণির এক আবাসিক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ওই মাদরাসার সুপারের বিরুদ্ধে।  

সোমবার (০৫ অক্টোবর) বিকেলে মিরপুর থানায় ওই মাদরাসা সুপারের বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা।

ঘটনা জানাজানির পর থেকে পলাতক রয়েছেন অভিযুক্ত আব্দুল কাদের (৪২)।

অভিযুক্ত আব্দুল কাদের মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ ইউনিয়নের স্বরুপদহ চকপাড়া এলাকার সিরাজুল উলুম মরিয়ম নেসা মাদরাসার সুপার (প্রধান শিক্ষক) ও ওই এলাকার মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে।

এলাকাবাসীর দাবি, বেশ কিছুদিন ধরেই মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ ইউনিয়নের স্বরুপদহ চকপাড়া এলাকার সিরাজুল উলুম মরিয়ম নেসা মাদরাসার অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীর ওপর পাশবিক নির্যাতন চালিয়ে আসছিলেন ওই মাদরাসার প্রধান আব্দুল কাদের।

সোমবার (১০ অক্টোবর) বিষয়টি ওই ছাত্রী তার এক সহপাঠীকে জানায়। পরে এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। পরে বিক্ষুদ্ধ জনতা মাদরাসায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে।

ওই শিক্ষার্থীর বাবার দায়ের করা এজাহারে জানা যায়, রোববার (৪ অক্টোবর) বিকেলে ওই মাদরাসার এক ছাত্রীর অভিভাবক তার মেয়ের খাবার দিতে গেলে অফিস কক্ষে শিক্ষক ও ছাত্রীকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলেন। বিষয়টি সোমবার সকালে ভিকটিমের পরিবারকে অবহিত করলে ওই ছাত্রীর মা মাদরাসায় এসে তার মেয়ের কাছ থেকে বিস্তারিত ঘটনা জানতে পারেন। অভিযুক্ত শিক্ষক আব্দুল কাদের বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য ভয়ভীতি দেখায় বলে জানায় সে।

তিনি এজাহারে আরো উল্লেখ করেন, মাদরাসার সুপার আব্দুল কাদের আমার মেয়েকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক (০৪ অক্টোবর) ভোর ৫টার সময় এবং একইদিন রাত ৮টার সময় ধর্ষণ করে।

পুলিশ জানায়, নির্যাতিতা ওই মাদরাসার আবাসিক ছাত্রী। সপ্তাহের ছয় দিন সে ওই মাদরাসায় থাকতো। প্রতি শুক্রবার সকালে তার বাবা তাকে বাড়ি নিয়ে যেত, আবার শনিবার সকালে পৌঁছে দিত। গত শনিবার সকালে মেয়েটির বাবা তাকে মাদরাসায় পৌঁছে দেন। পরে রোববার ভোরে ফজরের নামাজের সময় মাদরাসার সুপার মাওলানা আব্দুল কাদের মেয়েটিকে অফিস কক্ষে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন। রাত ৮টার দিকে মেয়েটিকে নিজ কক্ষে ডেকে দ্বিতীয় দফা ধর্ষণ করেন। সুপার বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য মেয়েটিকে শাসিয়ে দেন। এরপরও মেয়েটি সোমবার সকালে তার এক সহপাঠিকে বিষয়টি জানায়। আর ওই সহপাঠি ঘটনাটি নিজের বাবাকে জানালে তা এলাকায় জানাজানি হয়ে যায়।  

মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম জানান, ওই ছাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। মঙ্গলবার তার বয়স নির্ধারণ ও স্বাস্থ্য পরীক্ষার সব কার্যক্রম সম্পন্ন হবে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত ব্যক্তি পলাতক রয়েছে, তাকে গ্রেফতার করতে পুলিশের অভিযান চলছে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
পরীক্ষার নাম এসএসসিই থাকবে, ওয়েটেজ ৫০ শতাংশ - dainik shiksha পরীক্ষার নাম এসএসসিই থাকবে, ওয়েটেজ ৫০ শতাংশ ফরেনসিক অডিটে ফাঁসছেন দশ হাজার জাল সনদধারী - dainik shiksha ফরেনসিক অডিটে ফাঁসছেন দশ হাজার জাল সনদধারী কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের পিএইচডি ফেলোশিপ - dainik shiksha প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের পিএইচডি ফেলোশিপ সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি - dainik shiksha সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন - dainik shiksha জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন কলেজ পরিচালনা পর্ষদ থেকে ঘুষে অভিযুক্ত সাংবাদিককে বাদ দেওয়ার দাবি - dainik shiksha কলেজ পরিচালনা পর্ষদ থেকে ঘুষে অভিযুক্ত সাংবাদিককে বাদ দেওয়ার দাবি পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ - dainik shiksha পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন - dainik shiksha জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা - dainik shiksha হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে - dainik shiksha সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0030908584594727