অবশেষে বরিশালের বানারীপাড়ার একটি মাদরাসার ১১ জন শিক্ষার্থীকে অন্যত্র ভর্তি হওয়ার জন্য মার্কশিট দিতে বাধ্য হয়েছে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ। দাখিল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে মার্কশিট আটকে রেখে গোপনে নিজ প্রতিষ্ঠানের অনলাইনে ভর্তির আবেদন করে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ। এরপর উপজেলা প্রশাসনের চাপে পরে একটি মাদরাসার ১১ জন শিক্ষার্থীকে অন্যত্র ভর্তি হওয়ার জন্য ছেড়ে দেয়া হয়।
সূত্র জানায়, সম্প্রতি বানারীপাড়া উপজেলার আহম্মদাবাদ হোসাইনিয়া আলিম মাদরাসাসহ একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা দাখিল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া শিক্ষার্থীদের মার্কশিট আটকে রেখে গোপনে অনলাইনে অন্যের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে আলিম শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন করেন।
এ কারণে ওই শিক্ষার্থীরা অনলাইনে তাদের পছন্দের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির আবেদন করতে পারেননি। পরে তারা কোনো উপায় না পেয়ে সোমবার এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ আবদুল্লাহ সাদীদের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
বুধবার ইউএনও শেখ আবদুল্লাহ সাদীদ এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিলে উপজেলার আহম্মদাবাদ হোসাইনিয়া আলিম মাদরাসার মো. আজিজুল হক (রোল-২৩৭৫১০), মো. রিফাত মৃধা (রোল-২৩৭৫১৬), মো. বায়েজিদ (রোল-২৩৭৫১১) ও মো. রনিসহ (রোল-২৩৭৫১২) ১১ শিক্ষার্থীর মার্কশিট ও অনলাইনে আবেদন করার গোপন নম্বর দিয়ে দেয়া হয়।
এ বিষয়ে ওই মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আবদুল হালিম খান জানান, দাখিল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া তার মাদরাসার ২৮ জন শিক্ষার্থীর মধ্য থেকে বুধবার ১১ জনকে অন্যত্র ভর্তি হওয়ার জন্য ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ আবদুল্লাহ সাদীদ বলেন, দাখিল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া শিক্ষার্থীদের মার্কশিট ও অনলাইনে আবেদন করা গোপন নম্বর দিয়ে দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।