বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের কল্যাণ ট্রাস্ট ও অবসর সুবিধা বোর্ডের চাঁদা ৪ শতাংশ বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করার আদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন হঠাৎ গড়ে ওঠা ফেসুবকভিত্তিক বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী ফোরাম। একইসাথে বেসরকারি শিক্ষাব্যবস্থা সরকারিকরণের দাবি জানানো হয়েছে। আগামী ১০ মে’র মধ্যে বর্ধিত চাঁদা আদায়ের প্রজ্ঞাপন বাতিল এবং বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারিকরণের ব্যাপারে সুস্পষ্ট ঘোষণা না এলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মঘটের মতো কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেয়া হবে বলেও হুশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন তারা। মঙ্গলবার (২২ জানুয়ারি) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলন শেষে একই জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে করেন শিক্ষকরা। পরে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন ফেসবুকভিত্তিক হঠাৎ গড়ে ওঠা ফোরামের সভাপতি মো. সাইদুল হাসান সেলিম এবং মহাসচিব মো. আব্দুল খালেকসহ অন্যান্যরা। সংবাদ সম্মেলনে তারা প্রতিষ্ঠিত শিক্ষক নেতা ও অবসর ও কল্যাণট্রাস্টের সাবেক সদস্য-সচিবদের বিরুদ্ধে বিষোদগার করেন। জনপ্রিয় শিক্ষক সংগঠনগুলোর নেতাদের বিরুদ্ধে অশিক্ষকসুলভ মন্তব্য করেন। এতে সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেয়া অনেক শিক্ষকই বিব্রতবোধ করেন।
নবগঠিত বাংলাদেশ শিক্ষক ইউনিয়নের সভাপতি আবুল বাশার হাওলাদার বলেন, ‘আমিও চেষ্টা করছি অবসর ও কল্যাণট্রাস্টের সদস্য-সচিব হওয়ার। আমাকে দায়িত্ব দিলে শিক্ষকদের পক্ষে কাজ করবো।’
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষক নেতারা বলেন, কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারীদের জানুয়ারি মাসের এমপিও থেকে বর্ধিত ১০ শতাংশ চাঁদা কর্তন করায় সারাদেশের শিক্ষক-কর্মচারীরা হতাশ ও ক্ষুব্ধ।
ফোরামের শিক্ষকরা, স্কুল, কলেজ ও মাদরাসা শিক্ষকদের কল্যাণ ট্রাস্ট ও অবসর সুবিধা বোর্ডের বর্ধিত চাঁদা কর্তনের ‘অমানবিক’ প্রজ্ঞাপনটি বাতিলের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট জোর দাবি জানাচ্ছে। আগামী ১০ মে এর মধ্যে কল্যাণ ট্রাস্ট ও অবসর সুবিধা বোর্ডের বর্ধিত চাঁদার প্রজ্ঞাপন বাতিল এবং বেসরকারি শিক্ষাব্যবস্থা সরকারিকরণের ব্যাপারে সুস্পষ্ট ঘোষণা না এলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মঘটের মত কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হবে বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী ফোরাম।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নবগঠিত বাংলাদেশ শিক্ষক ইউনিয়নের সভাপতি আবুল বাশার হাওলাদার প্রমুখ।