বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের কল্যাণ ট্রাস্ট ও অবসর সুবিধা বোর্ডের চাঁদার হার বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করার আদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (বিটিএ)। বর্ধিত চাঁদা আদায়ের আদেশ প্রত্যাহার না করলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলেও হুমকি দিয়েছেন সমিতির। মঙ্গলবার (২২ জানুয়ারি) দৈনিকশিক্ষা ডটকমে পাঠানো সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ মো. বজলুর রহমান মিয়া স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, শিক্ষক প্রতিনিধিদের সাথে আলোচনা ছাড়াই আমলাতান্ত্রিক জটিলতার মারপ্যাচে শিক্ষা ব্যবস্থা সরকারিকরণের আন্দোলনকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য ২০১৭ খ্রিস্টাব্দে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের কল্যাণ ট্রাস্ট ও অবসর সুবিধা বোর্ডের চাঁদার হার ৬ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০শতাংশ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এরপর সারা দেশের শিক্ষক-কর্মচারীদের আন্দোলনের মুখে স্থগিত করা হয় চাঁদা বাড়ানোর ওই আদেশ। পরবর্তীতে ২০১৮ খ্রিস্টাব্দে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঠিক আগে পুনরায় শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন থেকে ১০ শতাংশ অবসর-কল্যাণের চাঁদা কর্তনের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। কিন্তু পরে বিজ্ঞপ্তিটি প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানান শিক্ষা সচিব। এরপর ২০১৯ খ্রিস্টাব্দের ১৪ জানুয়ারি পুনরায় এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের অবসর-কল্যাণের চাঁদা বাড়িয়ে ১০শতাংশ করার বিজ্ঞপ্তি জারি করায় সারাদেশের শিক্ষক-কর্মচারীরা হতাশ ও ক্ষুব্ধ।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সংসদ নির্বাচনের পর একদিকে ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী’ শিক্ষক-কর্মচারীদের ধন্যবাদ জানালেন। অন্যদিকে অত্যন্ত অযৌক্তিক ও অমানবিকভাবে তৃতীয়বারের মতো অবসর-কল্যাণের চাঁদা বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সারাদেশের শিক্ষক সমাজকে নতুন সরকার গঠিত হতে না হতেই আন্দোলনের দিকে ঠেলে দিলেন। যা কোনভাবেই কাম্য ছিল না। তাই, আদেশ সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহার করার দবি জানান সমিতির শিক্ষক নেতারা। আদেশ প্রত্যাহার করা না হলে সারাদেশের হতাশ ও বিক্ষুব্ধ শিক্ষক-কর্মচারীরা কঠোর কর্মসূচি পালন করতে বাধ্য হবেন বলে সরকারকে হুশিয়ার করেছে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি।
বিবৃতিতে আরও স্বাক্ষর করেন সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. কাওছার আলী সেখ, সহ সভাপতি অধ্যক্ষ মো. আবুল কাশেম, আলী আসগর হাওলাদার, বেগম নুরুন্নাহার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু জামিল, মো. সেলিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেন, অর্থ সম্পাদক মোস্তফা জামান খান, দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক হেনা রাণী রায়, গ্রহন্থাগার সম্পাদক অশোক কান্তি গুহ, সহদপ্তর সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম, সহ সাংস্কৃতিক সম্পাদক ফাহমিদা রহমান, সহ মহিলা বিষয়ক সম্পাদক শাহানা বেগম, কেন্দ্রীয় সদস্য মণি হালদার, মনোরঞ্জন মন্ডল, মো. মনিরুজ্জামান, মো. আজম আলী খান প্রমুখ।