এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন থেকে অবসর সুবিধা ও কল্যাণ ট্রাস্টের বর্ধিত ১০শতাংশ চাঁদা কর্তনে কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে আদেশ জারির প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (বিটিএ)। বৃহস্পতিবার (৩১ জানুয়ারি) সমিতির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় তৃতীয় বারের মত এ প্রতিবাদ জানান শিক্ষক নেতারা।
সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ মোঃ বজলুর রহমান মিয়ার সভাপতিত্বে সভায় শিক্ষক নেতারা বলেন, শিক্ষক প্রতিনিধিদের সাথে আলোচনা ছাড়াই আমলাতান্ত্রিক জটিলতার মারপ্যাচে শিক্ষা ব্যবস্থা সরকারিকরণের আন্দোলনকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য ২০১৭ খ্রিস্টাব্দে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের কল্যাণ ট্রাস্ট ও অবসর সুবিধা বোর্ডের চাঁদার হার ৬ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০শতাংশ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এরপর সারা দেশের শিক্ষক-কর্মচারীদের আন্দোলনের মুখে স্থগিত করা হয় চাঁদা বাড়ানোর ওই আদেশ। পরবর্তীতে ২০১৮ খ্রিস্টাব্দে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঠিক আগে পুনরায় শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন থেকে ১০ শতাংশ অবসর-কল্যাণের চাঁদা কর্তনের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। কিন্তু পরে বিজ্ঞপ্তিটি প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানান শিক্ষা সচিব। এরপর ২০১৯ খ্রিস্টাব্দের ১৪ জানুয়ারি পুনরায় এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের অবসর-কল্যাণের চাঁদা বাড়িয়ে ১০শতাংশ করার বিজ্ঞপ্তি জারি করায় সারাদেশের শিক্ষক-কর্মচারীরা হতাশ ও ক্ষুব্ধ।
সভায় বক্তারা আরও বলেন, সংসদ নির্বাচনের পর একদিকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শিক্ষক-কর্মচারীদের ধন্যবাদ জানালেন। অন্যদিকে অত্যন্ত অযৌক্তিক ও অমানবিকভাবে তৃতীয়বারের মতো অবসর-কল্যাণের চাঁদা বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সারাদেশের শিক্ষক সমাজকে নতুন সরকার গঠিত হতে না হতেই আন্দোলনের দিকে ঠেলে দিলেন। যা কোনভাবেই কাম্য ছিল না। তাই, আদেশ সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহার করার দবি জানান সমিতির শিক্ষক নেতারা। আদেশ প্রত্যাহার করা না হলে সারাদেশের হতাশ ও বিক্ষুব্ধ শিক্ষক-কর্মচারীরা কঠোর কর্মসূচি পালন করতে বাধ্য হবেন বলে সরকারকে হুশিয়ার করেছে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি।
সভায় বক্তব্য দেন, সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মোঃ কাওছার আলী শেখ, কর্মপরিষদের সদস্য অধ্যক্ষ মোঃ আবুল কাশেম, আলী আসগর হাওলাদার, বেগম নুরুন্নাহার, আবু জামিল মোঃ সেলিম, মোঃ ইকবাল হোসেন, মোস্তফা জামান খান, মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন, হেনা রাণী রায়, অশোক কান্তি গুহ, মোঃ রফিকুল ইসলাম, ফাহমিদা রহমান, শাহানা বেগম প্রমুখ।