জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) এবং জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা উপলক্ষে ২৫ অক্টোবর থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কিন্তু সে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করছে অর্থলোভী কোচিং বাণিজ্যকারীরা। যশোরের মণিরামপুর উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলসহ পৌর শহরের অলিতে-গলিতে গড়ে ওঠা কোচিং সেন্টারগুলো খোলা রাখা হয়েছে। কোচিং নিয়ন্ত্রণকারী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের রহস্যজনক ভূমিকা ও মনিটরিং না থাকায় আইন অমান্যকারী শিক্ষকরা পার পেয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কোচিং খোলা রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে মনিরামপুর মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস থেকে বলা হয়েছে, ‘কোচিং বন্ধের জন্য শিক্ষামন্ত্রী মহোদয় শুধুমাত্র এসএমএসের মাধ্যমে নির্দেশনা দিলেও এখনও পর্যন্ত লিখিত কোন আদেশ আসেনি।’
জানা গেছে, আসন্ন ২ নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা। প্রাইভেট কোচিং সেন্টারসহ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রশ্নফাঁস হতে পারে এমন আশংকায় ২৫ অক্টোবর থেকে আগামী ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত সব প্রকার প্রাইভেট-কোচিং বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। একই সাথে ১০ দফা নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, কোচিং বন্ধের নির্দেশ দেয়া হলেও উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চল ও পৌর শহরের অলিত-গলিতে ঘর ভাড়া করে অর্থলোভী শিক্ষকদের কোচিং বাণিজ্য এবং প্রাইভেট পড়ানো কারবার আগের মতই চলছে। ফলে সচেতন মহলসহ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে প্রশ্নফাঁসসহ নানা আশংকার জন্ম নিয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, পৌর শহরে বিভিন্ন শিক্ষকের বাড়ী এবং স্থান উল্লেখ করে কোচিং বাণিজ্যকারীদের নিয়ে ইতোপূর্বে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলেও মনিটরিং বা কোচিং বাণিজ্য দমনে কর্তৃপক্ষ কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেননি। যে কারণে কোচিং বাণিকরা জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা সামনে রেখে আরও বেশি বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
একই বিষয়ে জানতে চাইলে মণিরামপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান উত্তম চক্রবর্তী বাচ্চু দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, কোচিং নিয়ন্ত্রণকারী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে বিষয়টি উপজেলা পরিষদের মিটিংয়ে তোলা হবে।