পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলায় প্রাথমিক, নিম্ন-মাধ্যমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের নোট গাইড বই বাজারের খোলা দোকানে সাজিয়ে রেখে অবাধে বিক্রি হচ্ছে। এ নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের নেই কোনো নজরদারি। ফলে পুস্তক ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত দামে দেদারছে বিক্রি হচ্ছে নিষিদ্ধ ঘোষিত নোট গাইড বই। পক্ষান্তরে মেধাবী শিক্ষার্থীরা পড়েছেন বিপাকে। প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান, পুস্তক বিক্রেতা ও কিছু অসাধু শিক্ষক সমিতির সদস্যদের মাধ্যমে গড়ে উঠেছে এই সিন্ডিকেট। যার কারণে জিম্মি হয়ে পড়েছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ভাঙ্গুড়া বাজারের মাস্টার লাইব্রেরী, ইসলামীয়া লাইব্রেরী ও শরৎনগর বাজারের মাহমুদ লাইব্রেরীতে আলফা, পাঞ্জেরী, লেকচার, নবদূত, সিস্টেমেটিক, নতুন কুড়ি গাইড বই বিক্রি হচ্ছে। গাইড বই কিনতে আসা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক অভিভাবক জানান, অনেকটা বাধ্য হয়েই মোটা অংকের টাকায় গাইড বই কিনছেন তারা।
সরকার প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা পর্যন্ত সকল শ্রেণির বই বছরের শুরুতে বিনা মূল্যে প্রদান করেছে। সেই সাথে ইংরেজি ও বাংলা ব্যাকরণ বই ও শিক্ষার্থীদের দিয়ে থাকে। ফলে অন্য কোন গাইড বই তাদের কেনার প্রয়োজন নেই বলে মনে করেন সচেতন মহল। অথচ সেই পাঠ্যবই শির্ক্ষাথীদের না পড়িয়ে গাইড বই পড়ানোর প্রতি বিশেষ নজর দিয়েছেন এক শ্রেণির শিক্ষক।
এদিকে বই কোম্পানির প্রতিনিধিরা বছরের শুরুতে শিক্ষক সমিতির নেতা ও কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান প্রধানদের সাথে আলাপ আলোচনা করে তাদের প্রাপ্য কমিশনের হার ঠিক করে দেন বলে জানা গেছে। প্রতিষ্ঠানের ছাত্র সংখ্যা বুঝে গাইড প্রকাশনীর প্রতিনিধিরা কমিশন প্রতিষ্ঠান ক্ষেত্রে ৫ হাজার থেকে লাখ টাকা পর্যন্ত প্রস্তাব দিয়ে থাকেন। আর সেই প্রস্তাব একশ্রেণির অসাধু শিক্ষক সাদরে গ্রহণ করে।
এ বিষয়ে ভাঙ্গুড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুল আলম জানান, গাইড বই নিষিদ্ধ শিক্ষার্থীরা বিনা মূল্যে সরকার প্রদত্ত মূল বই পড়লেই ভালো ফলাফল অর্জন করা সম্ভব।