নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার জামনগর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৪ জন শিক্ষককে অবৈধভাবে এমপিওভুক্ত করায় প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক মো. আসাদুজ্জামানকে শোকজ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। ৪ শিক্ষককে অবৈধভাবে এমপিওভুক্ত করায় কেন তার এমপিও স্থগিত করা হবে না সেসম্পর্কে ৫ কার্যদিবসের মধ্যে জবাব পাঠাতে বলা হয়েছে প্রধান শিক্ষককে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের একাধিক সূত্র দৈনিক শিক্ষাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
জানা গেছে, নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার জামনগর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪ সহকারী শিক্ষককে অবৈধভাবে এমপিওভুক্ত করেছেন প্রধান শিক্ষক মো. আসাদুজ্জামান। ৪ সহকারী শিক্ষক হলেন ইসমত আরা, সানজিদা খাতুন, মো. শফিকুর ইসলাম এবং সুমাইয়া পারভীন। এসব শিক্ষকের অবৈধ এমপিওভুক্তির বিষয়টি তদন্তে প্রমাণিত হয়। ভুয়া শাখা দেখিয়ে প্রধান শিক্ষক মো. অসাদুজ্জামান ৪ শিক্ষককে এমপিওভুক্ত করেছেন বলে দৈনিক শিক্ষাকে জানিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্র।
এছাড়া প্রধান শিক্ষক মো. আসাদুজ্জামান বিভিন্ন অজুহাতে প্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিত থাকেন। শিক্ষার মানোন্নয়নের জন্য প্রতিষ্ঠানে কর্মকর্তাদের অসহযোগিতা করে তিনি। প্রধান শিক্ষক মো. আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ ইতিমধ্যে অধিদপ্তরের তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা চন্দ্র শেখর হালদার স্বাক্ষরিত শোকজ নোটিসে, ‘অবৈধভাবে ৪ শিক্ষককে এমপিওভুক্ত করায় কেন তার এমপিও স্থগিত করা হবে না’ তার জবাব ৫ কর্মদিবসের মধ্যে দাখিল করতে বলা হয়েছে প্রধান শিক্ষককে। অবৈধভাবে শিক্ষকদের এমপিওভুক্ত করায় এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামো কাঠামো ১৮.১(গ) ধারায় এই শোকজ করা হয়।
তবে এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক মো. আসাদুজ্জামান দৈনিক শিক্ষাকে জানান, শাখা দেখিয়ে এসব শিক্ষকের এমপিও আবেদন করা হয়। তাদরে এমপিওভুক্ত করেছিলো মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। শোকজ নোটিস পেলে আমি তার জবাব দিবো।