কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বজরা কলেজের অধ্যক্ষ মো. মাজেদুল ইসলামের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত শুরু করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। গত রোববার (১৬ সেপ্টেম্বর) রংপুরের আঞ্চলিক উপপরিচালকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। বজরা কলেজের প্রতিষ্ঠাতা মো. আকবর আলী কলেজটির অধ্যক্ষ মো. মাজেদুল ইসলামের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ করেন।
অভিযোগে বলা হয়, ২০০৪ খ্রিস্টাব্দের ১১ নভেম্বর বজরা কলেজের বাংলা বিষয়ের প্রভাষক মো. রাশেদুজ্জামান সরকার, পৌরনীতি বিষয়ের প্রভাষক মো. মতিয়ার রহমান, যুক্তিবিদ্যা বিষয়ের প্রভাষক মো. মাহফুজার রহমান মিয়াজী এবং ইতিহাস বিষয়ের প্রভাষক আ. রাজ্জাক খন্দকার বজরা কলেজে যোগদান করে এখন পর্যন্ত কর্মরত আছেন। তারা এমপিওভুক্তির জন্য হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করেছেন, যা বর্তমানে বিচারাধীন।
অভিযোগে আরও বলা হয়, অধ্যক্ষ মো. মাজেদুল ইসলাম ডিগ্রি খোলার নামে জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বাদিসহ ছয়জর শিক্ষক-কর্মচারীর পদের বিপরীতে অবৈধ নিয়োগ প্রদান করেন। বাংলা বিষয়ের প্রভাষক বাদি মো. রাশেদুজ্জামান সরকারের পদে ২০১৬ খ্রিস্টাব্দের জানুয়ারি মাসে বাংলা বিষয়ে অবৈধভাবে আঞ্জুমান আরা বেগমকে ও ইতিহাস বিষয়ের প্রভাষক আবদুর রাজ্জাক খন্দকারের পদে ইতিহাস বিষয়ের রোজিনা অক্তারকে ২০১৬ খ্রিস্টাব্দের সেপ্টেম্বরে অবৈধভাবে এমপিওভুক্ত করান।
এ অবস্থায় এ বিষয়টি তদন্ত করে বিধি মোতাবেক কলেজের অধ্যক্ষ মো. মাজেদুল ইসলামের ব্যাপারে সুস্পষ্ট প্রতিবেদন ১০ কর্মদিবসের মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে জমা দিতে বলা হয়েছে রংপুর মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের আঞ্চলিক উপপরিচালককে।