স্বীকৃতি পাওয়া সব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করার দাবির বিষয়ে আন্দোলনরত শিক্ষক-কর্মচারীরা সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা শুরু করেছেন। আমরণ অনশনের নবম দিনে মঙ্গলবার (৩ জুলাই) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (মাধ্যমিক-২) জাবেদ আহমেদের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের একটি প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎ করেন। তবে সেখানে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। মন্ত্রী ও সচিবের কাছে বিষয়টি তুলবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন অতিরিক্ত সচিব।
আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বিনয় ভূষণ রায় বলেন, দাবি আদায়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনার পাশাপাশি আন্দোলনও চলবে। এবার দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা আন্দোলন থামাবেন না।
এদিকে আন্দোলনকারীরা দাবি পূরণে রাষ্ট্রপতি বরাবর যে স্মারকলিপি দিয়েছিলেন, সে বিষয়ে বিধিগত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিবকে বিধিগত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা দিয়েছে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়।
এমপিওভুক্তির দাবিতে গত ২৫ জুন থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের সড়কের উত্তর পাশে আমরণ অনশন করছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। গতকাল বিকেল পর্যন্ত নতুন করে আরও ১১ শিক্ষক অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁদের মধ্যে দুজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ নিয়ে গত ৯ দিনে ১৯৩ জন অসুস্থ হয়ে পড়লেন বলে আন্দোলনকারী শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের নেতারা জানিয়েছেন।
এর আগে গত ১০ জুন থেকে প্রেসক্লাবের সামনে লাগাতার অবস্থান করে আসছিলেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। দাবির বিষয়ে রাষ্ট্রপতি, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার ও সাংসদদের কাছে স্মারকলিপি দেন তাঁরা।
সর্বশেষ ২০১০ সালে ১ হাজার ৬২৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত (এমপিওভুক্ত হলে শিক্ষক-কর্মচারীরা সরকার থেকে মূল বেতনসহ কিছু ভাতা পান) করা হয়েছিল। বর্তমানে স্বীকৃতি পাওয়া নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে ৫ হাজার ২৪২টি।