অবৈধভাবে এমপিও সুবিধা নেয়া মাদারীপুর কালকিনি উপজেলার খাসেরহাট আবুল হোসেন স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী প্রধান শিক্ষক লুৎফর রহমানকে সরকারি কোষাগারে এমপিওর টাকা ফেরত দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ অক্টোবর) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর থেকে প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এবং প্রধান শিক্ষককে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, মাদারীপুর কালকিনি উপজেলার খাসেরহাট আবুল হোসেন স্কুল এন্ড কলেজের ম্যানেজিং কমিটির প্রতিষ্ঠাতা দাতা সদস্য মো: আলী হোসেন রানা অভিযোগ করেন সহকারী প্রধান শিক্ষক লুৎফর রহমান অবৈধভাবে এমপিও ভোগ করছেন। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে অভিযোগটি তদন্তে কর্মকর্তা নিয়োগ করে। তদন্ত কর্মকর্তা অভিযোগটি সরেজমিনে তদন্ত করে অধিদপ্তরে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৬ খ্রিস্টাব্দের ৩০ ডিসেম্বর লুৎফর রহমান খাসেরহাট আবুল হোসেন স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক পদ থেকে পদত্যাগের আবেদন করেন। তার পদত্যাগ পত্রটি গৃহীত হয়। একই দিন খাসেরহাট আবুল হোসেন স্কুল এন্ড কলেজের ‘সহকারী প্রধান শিক্ষক’ পদে যোগদান করেন তিনি।
তদন্ত প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ‘সহকারী প্রধান শিক্ষক’ পদে কর্মরত থাকা অবস্থায় ‘সহকারী শিক্ষক’ পদের ইনডেস্কের বিপরীতে ২০১৬ খ্রিস্টাব্দের ডিসেম্বর থেকে ২০১৮ খ্রিস্টাব্দের এপ্রিল পর্যন্ত বেতন ভাতার সরকারি অংশ (এমপিও) উত্তোলন করেছেন লুৎফর রহমান। যা অর্থিক বিধিমালার পরিপন্থি।
চিঠিতে আরও বলা হয়, সহকারী প্রধান শিক্ষক লুৎফর রহমান ‘সহকারী শিক্ষক’ পদের ইনডেস্ক ব্যবহার করে ২০১৬ খ্রিস্টাব্দের ডিসেম্বর থেকে ২০১৮ খ্রিস্টাব্দের এপ্রিল পর্যন্ত বেতন ভাতা উত্তোলন করেছেন তা তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। তাই চিঠিতে তার কর্তৃক গৃহীত বেতন ভাতাদির সরকারির অংশ কোষাগারে জমা দিয়ে চালানের কপি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠাতে বলা হয়েছে।