মাদরাসার এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে গোলাম হোসেন নামের এক শিক্ষককে মারধর করে পুলিশে দিয়েছে এলাকাবাসী। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল সোমবার সকালে উপজেলার দেওপাড়া ইউনিয়নের ভোজদত্ত গ্রামে। অভিযুক্ত শিক্ষক বীরবাসিন্দা ভোজদত্ত দাখিল মাদরাসার শিক্ষক।
পুলিশ ও নির্যাতিত ছাত্রীর বাবার লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রী গত ১৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষক গোলাম হোসেনের কাছে প্রাইভেট পড়তে গেলে শ্লীলতাহানির শিকার হয়। ওই ছাত্রী ঘটনাটি তার মা-বাবাকে জানায়। পরে তার বাবা মাদরাসা পরিচালনা কমিটির কাছে এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৬ সেপ্টেম্বর মাদরাসা পরিচালনা পরিষদ অভিযুক্ত শিক্ষক গোলাম হোসেনকে পাঠদান থেকে বিরত রেখে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়। গতকাল সকালে অভিযুক্ত শিক্ষক মোটরসাইকেলযোগে মাদরাসায় যান। তিনি মাদরাসা এলাকায় অবস্থান করছেন—এই খবর পেয়ে গ্রামবাসী, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে তাঁর ওপর হামলা চালায়। এ সময় তাঁর ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি পুড়িয়ে দেওয়া হয়। পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে শিক্ষক গোলাম হোসেনকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি আবদুল খালেক বলেন, ওই শিক্ষককে মাদরাসায় আসতে নিষেধ করার পরও তিনি আসায় বিক্ষুব্ধ লোকজন এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
এ ব্যাপারে ঘাটাইল থানার ওসি মাকসুদুল আলম জানান, নির্যাতিত ছাত্রীটির বাবা থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযুক্ত শিক্ষক ঘাটাইল থানার পুলিশ হেফাজতে আছেন। ঘটনাটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।