অমর একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২০ যথাযোগ্য মর্যাদা এবং সুষ্ঠুভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটি ও ১২টি উপ-কমিটি গঠন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত এক সভায় এসব কমিটি গঠন করা হয়। সভার শুরুতে মহান একুশে ফেব্রুয়ারির ভাষা শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দীন, সিনেট-সিন্ডিকেট সদস্য ও রেজিস্ট্রার মো. এনামউজ্জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূইয়া। এছাড়া বিভিন্ন অনুষদের ডিন, হলের প্রভোস্ট, বিভাগের চেয়ারম্যান, ইনস্টিটিউটের পরিচালক, প্রক্টর, সহকারী প্রক্টর, অফিস প্রধান ও কর্মকর্তা-কর্মচারী সমিতিসমূহের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালকে সমন্বয়কারী, সমিতির সহ-সভাপতি অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূইয়াকে যুগ্ম-সমন্বয়কারী এবং প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানীকে সদস্য-সচিব করে অমর একুশে উদযাপন কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়।
এছাড়া সভায় কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটি ছাড়াও মহান অমর একুশে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে ১২টি উপ-কমিটি গঠন করা হয়। এগুলো হচ্ছে ঘোষণা মঞ্চ ব্যবস্থাপনা উপ-কমিটি, সাজ-সজ্জা উপ-কমিটি, জরুরি চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা উপ-কমিটি, বৈদ্যুতিক আলো ব্যবস্থাপনা উপ-কমিটি, পরিবহন উপ-কমিটি, বাজেট উপ-কমিটি, আপ্যায়ন উপ-কমিটি, স্বেচ্ছাসেবক ব্যবস্থাপনা উপ-কমিটি, শৃঙ্খলা উপ-কমিটি, দাপ্তরিক কার্যাবলী ব্যবস্থাপনা উপ-কমিটি, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা উপ-কমিটি এবং একুশের রাতে শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতকরণ উপ-কমিটি।
সভায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, মহান একুশে ফেব্রুয়ারি হচ্ছে আমাদের জাতীয় চেতনার প্রতীক। শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মর্যাদার কথা বিবেচনা করে বিগত বছরগুলোর মতো এবারও সতর্কতা ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে দিবসটি পালন করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম অক্ষুণ্ন রাখাতে সমন্বয় কমিটি কর্তৃক গৃহীত সকল কর্মসূচি নিয়ম-শৃঙ্খলা বজায় রেখে সুষ্ঠু ও সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেন উপচার্য।