বরগুনার আমতলী উপজেলার মেধাবী ছাত্র কাওসার আহমেদ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ভর্তি পরীক্ষায় টিকলেও পরিবারের আর্থিক দৈন্যদশার কারণে ভর্তি হতে পারছেন না।
আমতলীর কুকুয়া ইউনিয়নের কৃষক আবু বকর মোল্লা ও শাহিরুন বেগম দম্পতির তিন ছেলের মধ্যে কাওসার বড়। খেয়ে না খেয়ে পড়াশোনা করছে হতদরিদ্র কৃষক পরিবারের সন্তান কাওসার আহমেদ।
টিউশনি করে নিজের চেষ্টায় পড়াশোনা করে স্বপ্নের বুয়েটসহ ছয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ার সুযোগ পেয়েছে এই মেধাবী ছাত্র। অর্থাভাবে স্বপ্নের বুয়েটে ভর্তি হতে পারছেন না।
মেধাবী কাওসার আহমেদ বলেন, দরিদ্র কৃষক হওয়ায় সংসারের ব্যয় মিটিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানোর সামর্থ্য নেই বাবার। নিজে প্রাইভেট পড়িয়ে যা আয় করেছি তা খুবই সামান্য। আমাকে বিনা বেতনে পড়িয়েছেন সরকারি কলেজের স্যাররা।
পরিবারে আরও দুই ভাই পড়াশোনা করে। আমি যে বুয়েটে ভর্তি হব সেই টাকা আমার পরিবার দিতে পারবে না। আমার বাবার সেই সামর্থ নেই।
জানা গেছে, ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দে চুনাখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৪.৯৫ পায় কাওসার। ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে পটুয়াখালী সরকারি কলেজের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ লাভ করে।
কৃষক বাবা আবু বকর মোল্লা বলেন, আমার সামান্য আয়। তিন ছেলেকে পড়াশোনা করানোর মতো টাকা আমার নেই। ছেলে (কাওসার) নিজের চেষ্টায় পড়াশোনা করছে।
পটুয়াখালী সরকারি কলেজের অধ্যাপক ধীমান বলেন, কাওসার অনেক মেধাবী। ওর পাশে সমাজের বিত্তবানদের দাঁড়ানো উচিত। সে সুযোগ পেলে সামনে ভালো কিছু করতে পারবে।
কাওসারের কৃষক বাবা সরকার, সমাজের দানশীল বিত্তবান ও প্রবাসীদের কাছে তার লেখাপড়ার জন্য আর্থিক সহায়তা কামনা করেছেন।