ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি আশ্রমে করোনাভাইরাসের ওষুধ খাওয়ানোর নামে ১০ জন শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আশ্রমের ধর্মগুরুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার (১৩ জুলাই) বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলে ভারতীয় সামাজিক মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে নেটিজেনরা।
ভুক্তভোগীদের বরাতে ভারতীয় পুলিশ জানায়, উত্তর প্রদেশের মুজাফফরগরের গদ্য মঠ আশ্রমের মালিক ধর্মগুরু ভক্তি ভূষণ গোবিন্দ মহারাজ করোনাভাইরাসের ওষুধের নাম করে ওই ১০ জন শিক্ষার্থীকে অ্যালকোহল খাওয়ানোর পর বলাৎকার করেন। আশ্রমের এক কর্মী ধর্মগুরুর এ অপকর্মের প্রতিবাদ জানালে তাকে আশ্রম থেকে বের করে দেয়া হয়। পরে ওই কর্মী পুলিশের কাছে অভিযোগ জানালে গত বৃহস্পতিবার ওই ধর্মগুরুকে আটক করে এবং বলাৎকারের শিকার ওই ১০ শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে পুলিশ।
জানা গেছে, বলাৎকারের শিকার হওয়া ওই ১০ শিক্ষার্থী ভারতের ত্রিপুরা এবং মিজোরাম থেকে লেখাপড়া করার জন্য উত্তর প্রদেশের ওই আশ্রমে এসেছিলেন। বলাৎকার হওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে চারজনের বয়স নয় থেকে ১২ বছরের মধ্যে, পাঁচজনের বয়স ১০ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে এবং একজনের বয়স ১৮ বছর। শুধু বলাৎকারই না ওই শিক্ষার্থীদেরকে জোরপূর্বক অশ্লীল ভিডিও দেখাতেন অভিযুক্ত ধর্মগুরু ভূষণ গোবিন্দ মহারাজ। এছাড়াও তাদের ওপর নির্যাতনও চালানো হতো।
ভক্তি ভূষণ এবং তার বাবুর্চির বিরুদ্ধে এই ঘটনায় তিনটি ধারায় মামলা করা হয়েছে বলে জানান ভারতীয় পুলিশের একজন কর্মকর্তা।