আইনি সহায়তা পাওয়া মিন্নির সাংবিধানিক অধিকার

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী কারো পক্ষে, বিশেষ করে কোন আসামীর পক্ষে, আইনজীবী নিয়োগ দেয়া না থাকলে তার পক্ষে আইনজীবী নিয়োগ দেয়া সরকারের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে বলে মন্তব্য করেছেন মানবাধিকার আইনজীবী সালমা আলী।

বরগুনায় চাঞ্চল্যকর রিফাত শরীফ হত্যা মামলার প্রধান সাক্ষী আয়শা সিদ্দিকাকে গ্রেফতারের পর গতকাল আদালতে নেয়া হলে তার পক্ষে কোন আইনজীবী লড়তে রাজী হননি। বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।

আয়শা সিদ্দিকা মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেনের অভিযোগ, প্রভাবশালী মহলের চাপে বরগুনার কোন আইনজীবী তার মেয়ের পক্ষে লড়তে রাজী হননি।

যদিও মি. হোসেনের এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বরগুনা জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আব্দুর রহমান নান্টু।  তিনি জানিয়েছেন, মি. হোসেন আইনজীবী পাওয়ার বিষয়ে তাদের সাথে কোন যোগাযোগই করেননি।

এই প্রেক্ষাপটে মানবাধিকার আইনজীবী সালমা আলী বলেন, কোন কারণে একজন নাগরিক আইনগত সহায়তা না পেলে তার জন্য আইনগত সহায়তা নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব।

"এই বিষয়টি যেরকম আমাদের সংবিধানে আছে, সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্টের অনেক জাজমেন্টে রয়েছে, তেমনি আন্তর্জাতিক আইনের অনেক ধারাতেও স্পষ্ট বর্ণিত রয়েছে।"

পুরুষতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থায় এরকম ক্ষেত্রে অভিযুক্ত হিসেবে একজন নারী থাকলে পরিস্থিতি আরো জটিল হতে পারে বলে মন্তব্য করেন মিজ. আলী।

"আমাদের সমাজে এরকম ক্ষেত্রে নারীদের অনেক সমস্যার মুখে পড়তে হয়। যেমন ধর্ষণের একজন ভিকটিমকেও নিজের প্রমাণ করতে হয় যে সে ধর্ষিত হয়েছে এবং বিচার চলাকালীন সময় তাকে দোষারোপ করার প্রবণতাও দেখা যায়।"

তবে বরগুনার মত অঞ্চলে যথেষ্ট পরিমাণ নারী আইনজীবী না থাকা এবং বাংলাদেশের অধিকাংশ জেলা শহরগুলোর মত সেখানেও আইনজীবীদের মধ্যে রাজনৈতিক প্রভাব ব্যাপক হওয়ায় আয়শা সিদ্দিকার জন্য আইনজীবী পাওয়ার বিষয়টি কঠিন হচ্ছে বলে মনে করেন মিজ. আলী।

"বরগুনার মত ছোট শহরে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থাকার কারণে অনেক সময় চাইলেও সাহস করে এগিয়ে আসেন না অনেক আইনজীবী।"

মিজ. আলী আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে একজন ব্যক্তির পক্ষে আইনজীবী নিয়োজিত না থাকলে তার ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার ক্ষুণ্ন হতে পারে।

"একটা মামলার ক্ষেত্রে দুই পক্ষের সাক্ষীদের বক্তব্য শুনে, বিভিন্ন প্রমাণ পর্যালোচনা করে, দুই পক্ষের সব ধরণের বক্তব্য আলোচনা-পর্যালোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্তে উপনীত হন বিচারক।"

এরকম একটি মামলার ক্ষেত্রে আয়শা সিদ্দিকার পক্ষে কোন আইনজীবী না থাকলে তা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য বা স্বচ্ছ বিচার হিসেবে গৃহীত হবে না বলে মনে করেন তিনি।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
প্রাথমিকে ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ জুনের মধ্যে: প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha প্রাথমিকে ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ জুনের মধ্যে: প্রতিমন্ত্রী পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা দাবি মাধ্যমিকের শিক্ষকদের - dainik shiksha পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা দাবি মাধ্যমিকের শিক্ষকদের ঝরে পড়াদের ক্লাসে ফেরাতে কাজ করছে সরকার - dainik shiksha ঝরে পড়াদের ক্লাসে ফেরাতে কাজ করছে সরকার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি, ভাইবোন গ্রেফতার - dainik shiksha প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি, ভাইবোন গ্রেফতার ভিকারুননিসায় ৩৬ ছাত্রী ভর্তিতে অভিনব জালিয়াতি - dainik shiksha ভিকারুননিসায় ৩৬ ছাত্রী ভর্তিতে অভিনব জালিয়াতি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন প্রায় শূন্যের কোটায় - dainik shiksha শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন প্রায় শূন্যের কোটায় ‘চার আনা’ উৎসব ভাতা: প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী সমীপে - dainik shiksha ‘চার আনা’ উৎসব ভাতা: প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী সমীপে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0054500102996826