সরকার বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে শিক্ষা ব্যবস্থাকে কার্যকর করার লক্ষ্যে আইসিটি বিষয়টি বাধ্যতামূলক করেছে এবং সকল প্রতিষ্ঠানে আইসিটি শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছে। তবে তেরো এগারোর পরে তৎকালীন সিনিয়র সহকারী সচিব ওয়াহিদা আক্তার স্বাক্ষরিত পরিপত্রের মাধ্যমে উক্ত তারিখের পরে নিয়োগপ্রাপ্ত আইসিটিসহ সকল অতিরিক্ত শ্রেণি শাখার শিক্ষকদের বেতন ভাতা বন্ধ করা হয়।
পরিপত্রে উল্লেখ করা হয় ‘তেরো এগারোর পর অনুমোদনপ্রাপ্ত আইসিটিসহ সকল অতিরিক্ত শ্রেণি শাখার শিক্ষকদের বেতন ভাতা সরকার প্রদান করবে না বরং সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বহন করবে।’ কিন্তু সমীক্ষায় দেখা যায়, প্রায় ৯৯ শতাংশ প্রতিষ্ঠান ওই সকল শিক্ষকদের কোন বেতন ভাতা প্রদান করেনি। বেশ কয়েক বছর ধরে তারা বিনাবেতনে চাকরি করে গেছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ড থেকে বার বার তাগিদ দেয়া সত্ত্বেও কোন কাজে আসেনি। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অনেক আন্দোলন শেষে ২০১৮ খ্রিস্টাব্দের মার্চ মাস থেকে তাদের এমপিওভুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়।
অথচ সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে সকল বিধি বিধান মেনে ওই শিক্ষকরা নিয়োগপ্রাপ্ত হন এবং ২০১৬ খ্রিস্টাব্দের ২৬ এপ্রিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বিষয়টি আবশ্যক করা হয়। যেহেতু ওই শিক্ষকরা সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে সকল বিধি বিধান মেনে নিয়োগ প্রাপ্ত, তাদের যোগদান থেকে চাকরির অভিজ্ঞতা এবং এমপিওভুক্তির অধিকার রাখেন। কিন্তু বিষয়টি আবশ্যিক হওয়ার পরেও শিক্ষকদের এমপিওভুক্ত করা হয়নি। যা আর্ন্তজাতিক শ্রমিক আইন ও মানবাধিকার লঙ্ঘন।
এ অবস্থায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আইসিটি বিষয়টি আবশ্যক করার তারিখ থেকে সব শিক্ষককে এমপিওভুক্তি (বকেয়াসহ), যোগদান থেকে চাকরির অভিজ্ঞতা এবং প্রতিষ্ঠানে যোগদান থেকে আবশ্যিক বিষয় ঘোষণার পূর্ব পর্যন্ত বেতন ভাতা সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে (বকেয়াসহ) প্রদানের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানাচ্ছি।
লেখক : প্রভাষক, দুমকি ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসা, দুমকি, পটুয়াখালী।
[মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন]