আক্রান্ত জাফর ইকবালঃ মোটরসাইকেলে পালানো দুই যুবক কারা

নিজস্ব প্রতিবেদক |

 ড. জাফর ইকবালের ওপর হামলার ঘটনায় ফয়জুর রহমান ওরফে ফয়জুল ছাড়া অন্য কেউ জড়িত রয়েছে কি-না সে ব্যাপারে এখনও নিশ্চিত হতে পারেননি গোয়েন্দারা। তবে হামলার পর পরই সন্দেহভাজন দুই ব্যক্তিকে মোটরসাইকেল নিয়ে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে দ্রুত পালিয়ে যেতে দেখা গেছে। জাফর ইকবালের ওপর যে এলাকায় হামলা করা হয়, মোটরসাইকেল নিয়ে তারা ওই স্পটের অদূরে অবস্থান করছিল। হামলার পর পরই আশপাশের লোকজন ছুটে ঘটনাস্থলের দিকে গেলেও মোটরসাইকেল নিয়ে অবস্থান করা দু’জন ক্যাম্পাস ত্যাগ করে। ঘটনার দিন ক্যাম্পাসের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্নেষণ করে গোয়েন্দারা বলছেন, মোটরসাইকেলে থাকা সাদা জামা পরিহিত দুই যুবককে তারা সন্দেহ করলেও ফুটেজ থেকে তাদের নম্বরপ্লেট শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। ওই মোটরসাইকেলে পালিয়ে যাওয়া একজনের মাথায় হেলমেট ছিল। জাফর ইকবালের ওপর হামলায় দুই ব্যক্তির সংশ্নিষ্টতা রয়েছে কি-না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত-সংশ্নিষ্ট একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র এসব তথ্য দেয়।

পুলিশের উচ্চপদস্থ একজন কর্মকর্তা জানান, ফয়জুর দাবি করেছে সে একাই এ হামলায় সম্পৃক্ত। অনলাইনে তার কার্যক্রম তদারক করে এখন পর্যন্ত পুলিশ হামলার অন্য কোনো নির্দেশদাতাকে খুঁজে পায়নি। তবে যেভাবে প্রযুক্তি সম্পর্কে ফয়জুর ধারণা রাখত, তা দেখে গোয়েন্দারাও বিস্মিত। নিজের অবস্থান লুকিয়ে রাখতে মোবাইলে বিশেষ অ্যাপস ব্যবহার করত সে।

দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, এখন পর্যন্ত কোনো জঙ্গি গ্রুপ জাফর ইকবালের ওপর হামলার ঘটনা স্বীকার করেনি। তবে ঘটনার ১২ ঘণ্টার মধ্যে আনসার আল ইসলামের একটি অনলাইন গ্রুপে এই হামলার ‘যৌক্তিকতা’ তুলে ধরে একটি বিবৃতি পোস্ট করা হয়। তবে ওই পোস্টটি আনসার আল ইসলামের সাংগঠনিক পোস্ট নয়। সেটি সংগঠনের কোনো এক সদস্য ব্যক্তিগতভাবে দিয়েছে।

 

গোয়েন্দারা বলছেন, ঘটনার পর পরই ফয়জুরের আত্মীয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখেন- জাফর ইকবালের ওপর হামলার ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে ফয়জুরের নাম ছড়িয়ে পড়ছে। এ বিষয়টি জানার পর পরই ফয়জুরের পরিবারের সদস্যরা পালানোর সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর ফয়জুরের ভাই এনামুল তার ভাইয়ের মোবাইল, ল্যাপটপ ও কম্পিউটার নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে গাজীপুরের একটি দোকানে ফরম্যাট করে ফয়জুরের ইলেট্রনিক্স ডিভাইসের সব তথ্য মুছে ফেলে এনামুল।

পুলিশ বলছে, এখন পর্যন্ত তারা যে তথ্য পেয়েছে, তাতে ধারণা করা হচ্ছে, ফয়জুর অনলাইন থেকে জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হয়েছে। সে আসলে আহলে হাদিসের অনুসারী। প্রবাসী দুই চাচার মাধ্যমে ফয়জুর আহলে হাদিসের অনুসারী হলেও পরে যে কম্পিউটারের দোকানে সে চাকরি করে, তার মালিকও একই আদর্শে বিশ্বাসী। এ ছাড়া চমন ওরফে সুমন নামে ফয়জুরের এক বন্ধু রয়েছে, যে আহলে হাদিসের অনুসারী।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
প্রাথমিকের শিক্ষকদের ফের অনলাইনে বদলির সুযোগ - dainik shiksha প্রাথমিকের শিক্ষকদের ফের অনলাইনে বদলির সুযোগ তীব্র তাপপ্রবাহের ভেতরই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে রোববার - dainik shiksha তীব্র তাপপ্রবাহের ভেতরই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে রোববার দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি - dainik shiksha দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি নতুন শিক্ষাক্রম ও কিছু কথা - dainik shiksha নতুন শিক্ষাক্রম ও কিছু কথা কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে স্কুলে দুই শিফটের ক্লাস চালু রাখার সভা রোববার - dainik shiksha স্কুলে দুই শিফটের ক্লাস চালু রাখার সভা রোববার শিক্ষা কর্মকর্তার আইডি ভাড়া নিয়ে প্রধান শিক্ষকের বাণিজ্য - dainik shiksha শিক্ষা কর্মকর্তার আইডি ভাড়া নিয়ে প্রধান শিক্ষকের বাণিজ্য শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে - dainik shiksha শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে নিষিদ্ধ, মৌলবাদী সংগঠনের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিন - dainik shiksha নিষিদ্ধ, মৌলবাদী সংগঠনের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিন please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0063610076904297