আগামী বাজেটে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির ঘোষণা

মাছুম বিল্লাহ |

বর্তমান সরকারের মেয়াদে ২০১০ সালে সর্বশেষ এক হাজার ৬২৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়। এর পর থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি বন্ধ আছে। এই এমপিওভুক্তিতে দুর্নীতি ও রাজনৈতিক প্রভাব কাজ করেছে বলে বিভিন্ন মহল থেকে কথা উঠেছিল, যদিও শিক্ষামন্ত্রী বিষয়টি স্বচ্ছতার সঙ্গে করার চেষ্টা করেছিলেন। তাই তাঁকে বিভিন্ন মহলের সমালোচনা ও চাপ সহ্য করতে হয়েছিল। তাঁকে নিজ দলের আইনপ্রণেতাদেরও সমালোচনা ও ঝড়ের মুখোমুখি হতে হয়েছিল। তার পর থেকে প্রায় আট বছর হতে চলেছে, কোনো ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়নি।

জানা যায় যে অর্থমন্ত্রী এমপিও খাতে আগামী বাজেটে একটি অংশ বরাদ্দ রাখবেন। আগামী বাজেটে এক হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করা হবে বলে তিনি জানান, আর এ জন্য ব্যয় হবে অতিরিক্ত চার হাজার কোটি টাকা। এখানে দুটি প্রধান প্রশ্ন জড়িত। একটি হচ্ছে, এমপিওভুক্ত করার শর্তাবলি ও নিয়মাবলি কী হবে। দ্বিতীয়ত, শুধু এক হাজার প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হলে বাকি যে পাঁচ সহস্রাধিক বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে সেগুলোর কী হবে। গত ১৫ বছর ধরে যে নিয়ম চলে আসছে তা হচ্ছে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হবে। সেই রীতির দৃষ্টান্ত থেকে শেষ কালপর্বে বিগত দুই দশকে এমপিওপ্রত্যাশী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপিত হয়। কিন্তু রাজনৈতিক সিদ্ধান্তহীনতার কারণে বছরের পর বছর পেরোলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি বন্ধ আছে। তাই শিক্ষক নেতারা বলছেন, সরকারের নতুন এমপিওভুক্তিতে ওই একই নিয়ম থাকতে হবে যে প্রতিষ্ঠান সরকারের স্বীকৃতিপ্রাপ্ত। কিন্তু এই একটি মাত্র শর্ত দেওয়া হলে সেটি ঝামেলার সৃষ্টি করবে। তবে এটি প্রাথমিক কিংবা এক নম্বর শর্ত হতে পারে।

আমরা স্মরণ করতে পারি যে ২০১২ সালের জুন মাসে ঢাকায় প্রেস ক্লাবের সামনে বেসরকারি শিক্ষকরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ কর্মসূচি পালন করেছিলেন এবং তৎকালীন শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি রাশেদ খান মেনন শিক্ষকদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছিলেন। সর্বশেষ ২৬ ডিসেম্বর ২০১৭ থেকে ৫ জানুয়ারি ২০১৮ পর্যন্ত জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে শিক্ষকদের লাগাতার অবস্থান ও অনশন কর্মসূচি চলে। অনশন চলাকালে শিক্ষামন্ত্রী অনশনস্থলে এসে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো এমপিওভুক্ত করা হবে বলে আশ্বাস দেন; কিন্তু শিক্ষকরা তা মানতে রাজি হননি। পরে ৫ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব-১ অনশনস্থলে এসে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে বলেন যে নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিওভুক্ত করা হবে। শিক্ষকরা প্রধানমন্ত্রীর তরফ থেকে আশ্বাস পেয়ে অনশন ভঙ্গ করেন। গত ১১ মার্চ জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাস ও সর্বশেষ অগ্রগতি’ শীর্ষক এক আলোচনাসভায় নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারীদের ফেডারেশনের পক্ষ থেকে তিনটি দাবি উপস্থাপিত হয়। দাবিগুলো হচ্ছে—ক) মে মাসের মধ্যে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তির ঘোষণা; খ) নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতিকেই একমাত্র মানদণ্ড হিসেবে গণ্য করা হয়। কারণ নতুন করে নীতিমালা কিংবা গ্রেডিং করতে গেলে সে ক্ষেত্রে দুর্নীতি ও অনিয়মের আশঙ্কা থাকবে। ২০১০ সালের এমপিওভুক্তিতে এমপিদের ডিও লেটার গুরুত্ব পায়। নানামুখী চাপ, দেন-দরবারে তিন দফা এমপিওভুক্তির তালিকা পরিবর্তন করা হয় এবং গ) নতুন এমপিওভুক্তকরণ প্রক্রিয়ায় শিক্ষক সমিতির মতামত গ্রহণ ও তাদের অংশগ্রহণ থাকতে হবে।

ব্র্যাক শিক্ষা কর্মসূচিতে চাকরির সুবাদে, বাংলাদেশ ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বেল্টা) নির্বাহী কমিটিতে স্থান পাওয়ার কারণে ও ব্যক্তিগত আগ্রহের কারণে কয়েকটি দেশের শিক্ষাব্যবস্থা ও শিক্ষকদের সঙ্গে মেলামেশার সুযোগ হয়েছে। দেখা হয়েছে সুদূর আফ্রিকার পড়াশোনা, শিক্ষক ও শিক্ষার্থী, প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। এমনকি সুদূর পশ্চিম আফ্রিকার দেশ সিয়েরা লিয়নের শহর থেকে গ্রামের বিদ্যালয় দেখার সুযোগ হয়েছে। সিয়েরা লিয়নের কথাই যদি বলি, তাদের প্রচুর খনিজ সম্পদ রয়েছে, যেমন—স্বর্ণ, হীরক ও কয়লা। জনসংখ্যা ৬০ লাখের মতো, তার মধ্যে প্রায় ৪০ লাখই বাস করে রাজধানী শহরে। কিন্তু দেশটি যেমন গরিব, তার শিক্ষার অবস্থা আরো গরিব। গিয়েছি সেখানকার রাজধানী থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে। বিশ্বের অনেক দেশ থেকে পিছিয়ে থাকলেও বাংলাদেশ যে এসব দেশের চেয়ে শিক্ষায় অনেক দূর এগিয়ে আছে, তা বলা যায়, বিশেষ করে বেসরকারি শিক্ষকদের কথায় যদি আসি। দেখেছি গ্রামীণ বিদ্যালয়গুলোতে শুধু অধ্যক্ষ সরকারি বেতন পান, বাকিরা বছরের পর বছর চাকরি করছেন অনেকটাই বিনা বেতনে। তাঁরা স্কুল থেকে পরীক্ষার সময় বা বিশেষ কোনো উপলক্ষে কিছু পান। অনেকেই পাঁচ-ছয় বছর পর্যন্ত বিনা বেতনে কাজ করছেন। এখন বোঝাই যায়, তাঁরা কী কাজ করছেন। দীর্ঘ এক মাস দেখেছি, পরীক্ষার সময় বিদ্যালয়ে গিয়েছি। পরীক্ষার প্রশ্নপত্র নেই, কারণ ছাপাতে অর্থ খরচ হয়, তাই। শিক্ষক বোর্ডে প্রশ্ন লিখছেন আর শিক্ষার্থীরা উত্তর লিখছে। শিক্ষার্থীরা যাতে উত্তর লিখছে তাকে পরীক্ষার খাতা বলা যাবে না, কয়েকটি কাগজ মাত্র। জিজ্ঞেস করলাম বোর্ডে লিখে পরীক্ষা কেমন করে শেষ হবে? শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উত্তর দিলেন দুই থেকে তিন দিনে। অর্থাৎ একটি পরীক্ষা তারা দুই দিন বা তিন দিন ধরে নেয়। যেসব শিক্ষক বেতন পান না, তাঁরা স্কুল টাইমের পরে কিছু একটা করে সংসার চালান। তবে দুটি বিষয় ভালো লেগেছে। একটি হচ্ছে তাদের বইগুলো খুব উন্নত মানের। কারণ জিজ্ঞেস করায় বলল, বইগুলো ব্রিটিশরা করে দিয়েছে, তাই। সব বই-ই যেমন বাঁধাই করা, তেমন কনটেন্ট। আরেকটি হচ্ছে শিক্ষকতা করার জন্য শিক্ষকদের দীর্ঘ প্রশিক্ষণ নিতে হয় সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজে।

আমাদের দেশের সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর অবস্থা কী? যদি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দিকে তাকাই, তাহলে কী দেখতে পাই? শিক্ষকরা সরকারি চাকরিজীবী আর এটিই সম্ভবত মূল কারণ, যে জন্য সরকারি প্রাথমিক শিক্ষার মানের চিত্র বেশ করুণ। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন আছে (কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া), উন্মুক্ত খেলার মাঠ আছে, শিক্ষকরা অনেকেই স্নাতকোত্তর পাস করা। কিন্তু পড়াশোনা হচ্ছে না। শিক্ষার্থীরা ক্লাসে আসতে চায় না। আসার কোনো আগ্রহও নেই। তবে শিক্ষকদের সরকারি চাকরি মানে দেশের এক বিশাল জনগোষ্ঠীর অর্থনীতির উন্নয়ন, এটিও দরকার। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে এটিও তো চাপ যে পড়াশোনাটা যেন একটু হয়। সরকারি প্রাইমারি থেকে পাস করে শিক্ষার্থীরা বাংলা পড়তে পারে না, ইংরেজি তো দূরের কথা। যোগ-বিয়োগ পারে না। দেশের মুষ্টিমেয় মাধ্যমিক বিদ্যালয় (৩৩৫টি) সরকারি। সেখানে ভর্তি হতে হয় ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে। তারপর শুরু হয় প্রাইভেট পড়ানোর খেলা। ক্লাসে পড়াশোনা নেই। সরকারি মানে শিক্ষকদের চাকরিটা সরকারি; আর শিক্ষার্থীদের বেতন দিতে হয় না বললেই চলে; অর্থাৎ মাসে ১০-১২ টাকা বেতন। এর মানে কী? সরকারি মাধ্যমিক স্কুলে যারা পড়ে তারা কী বেতন দিতে পারে না? সরকার অর্থের অভাবে দেশের হাজার হাজার বিদ্যালয়কে এমপিওভুক্ত করতে পারছে না, আর সরকারি স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা পড়ছে বলতে গেলে বিনা বেতনে। তারা বিনা বেতনে পড়লেও উল্লেখ করার কিছু ছিল না; কিন্তু সমস্যাটা হচ্ছে এই সরকারি স্কুল-কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থীরা প্রতি মাসে কয়েক হাজার টাকা খরচ করে প্রাইভেট পড়ার পেছনে। তার অর্থ দাঁড়াচ্ছে শিক্ষার্থীরা যাতে ঠিকমতো প্রাইভেট পড়তে পারে, কোচিং করতে পারে, তাই সরকার শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বেতন নিচ্ছে না!

শিক্ষার মান নিশ্চিত করতে হলে অবশ্যই শিক্ষকদের দৈন্যতার অবসান হতে হবে। তাঁদের অর্থনৈতিক বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে হবে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, শিক্ষা জাতীয়করণ করা হলে কিংবা সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হলে কি আমরা শিক্ষার মান নিশ্চিত করতে পারব? শিক্ষকদের চাকরির নিশ্চয়তা থাকতে হবে, তাঁদের অর্থনৈতিক চিন্তা যাতে তাঁদের নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষক হতে সহায়তা করে, সেই নিশ্চয়তা থাকতে হবে, শতভাগ সম্ভব না হলেও মোটামুটি ৮০ শতাংশ শিক্ষককে উপযুক্ত শিক্ষক হতে হবে, তাঁদের ইনসার্ভিস সত্যিকার পড়াশোনার সুযোগ থাকতে হবে। আবার এটিও ঠিক যে দেশের সব বিদ্যালয়কে এমপিওভুক্ত করা কিংবা জাতীয়করণ করার প্রয়োজন নেই। সিটির বড় বড় বিদ্যালয়গুলোর এমপিওভুক্তিরও দরকার নেই, জাতীয়করণেরও দরকার নেই। দরকার গ্রামীণ এলাকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে এমপিওভুক্তি করা। দরিদ্র ও কৃষিজীবীদের সন্তানরা গ্রামীণ প্রতিষ্ঠানগুলোতে পড়ে।

দীর্ঘ আট বছর পর অর্থমন্ত্রী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি খাতে অর্থ বরাদ্দ রাখতে সম্মত হয়েছেন, এটি একদিকে যেমন আনন্দের সংবাদ, অন্যদিকে এর সঙ্গে নিরানন্দও জড়িত আছে। কারণ দেশে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে ২৭ হাজারের অধিক আর এমপিওর জন্য অপেক্ষায় আছে পাঁচ হাজার। আরো অতিরিক্ত প্রতিষ্ঠান আছে তিন হাজারের মতো, যেগুলো রাষ্ট্র থেকে কোনো ধরনের অর্থনৈতিক সুবিধা পায় না। এসব বিদ্যালয়ের কী হবে? এক হাজার প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হলে তো আবারও সেই বৈষম্য থেকে যাবে। এ অবস্থা তো বঞ্চিতদের আবারও আন্দোলনে নামার পথ তৈরি করে দেবে। শিক্ষক সমিতি, সরকার ও শিক্ষক নেতাদের বিষয়গুলো নিয়ে ভাবতে হবে।

 

লেখক : ব্র্যাক শিক্ষা কর্মসূচিতে কর্মরত, সাবেক ক্যাডেট কলেজ ও রাজউক কলেজ শিক্ষক


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন - dainik shiksha জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ - dainik shiksha পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা - dainik shiksha হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে - dainik shiksha সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন - dainik shiksha জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো - dainik shiksha ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা - dainik shiksha তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0067369937896729