আগামী মাসেই জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) অনুমোদিত উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের আবশ্যিক তিনটি পাঠ্যবই বাজারে আসছে। মাসের প্রথম দিন নতুন শিক্ষাবর্ষের শুরুতেই একাদশ শ্রেণির নতুন শিক্ষার্থীরা সরকার নির্ধারিত মূল্যে তাদের জন্য বাধ্যতামূলক এ তিনটি বই কিনতে পারবে। এদিকে কার্যাদেশ পাওয়া প্রতিষ্ঠানের বাইরে যে কোনো অননুমোদিত প্রতিষ্ঠানের অবৈধ বইয়ের বিষয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে সরকার।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র সাহা শনিবার সাংবাদিকদের বলেছেন, উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের আবশ্যিক তিনটি পাঠ্যবই হচ্ছে সাহিত্য পাঠ (গদ্য ও কবিতা), বাংলা সহপাঠ (উপন্যাস ও নাটক) এবং ইংরেজী। এবার উচ্চ মাধ্যমিকের সকল বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য আবশ্যিক এ তিনটি পাঠ্যবইয়ের কার্যাদেশ পেয়েছে মেসার্স অগ্রণী প্রিন্টিং প্রেস। ইতোমধ্যেই পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির চুক্তিপত্রও সম্পন্ন হয়েছে। আগামী মাসের প্রথম দিনই শুরু হচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের নতুন শিক্ষা বর্ষের ক্লাস। শিক্ষা বর্ষের প্রথম থেকেই শিক্ষার্থীরা যাতে তাদের আবশ্যিক তিনটি সরকার অনুমোদিত বই বাজারে পায় তা নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করছি। রোববার (১৬ জুন) দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়। প্রতিবেদনটি লিখেছেন বিভাষ বাড়ৈ।
জানা গেছে, বিগত কয়েক বছর ধরেই একটি সিন্ডিকেট এ পাঠ্যপুস্তকের কাজ কৌশলে বাগিয়ে নিচ্ছিল। প্রতিবছরই দেখা যেত একটি চক্র সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে বাজারে ছাড়তো এসব বই। কিছু অসৎ ব্যবসায়ীর কারণে ছাত্র-ছাত্রীদের সরকার নির্ধারিত মূল্য থেকে অনেক বেশি মূল্য দিয়ে বই কিনতে হতো। তবে এবার নতুন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এবং শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরীর সরাসরি তদারকিতে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যপুস্তক সিন্ডিকেটমুক্ত করার উদ্যোগ নেয় এনসিটিবি। লক্ষ্য বাস্তবায়নে এবার কোনো অসাধু অযোগ্য ভূঁইফোড় প্রতিষ্ঠান যাতে কাজ না পায় সেভাবেই নেয়া হয়েছে পদক্ষেপ।
এনসিটিবির কর্মকর্তারা অভিযোগ করছেন, সিন্ডিকেট এনসিটিবিকে জিম্মি করতে চায়। এমনকি সিন্ডিকেট হুমকি দেয় তাদের বাইরে কাউকে ১টি কাজও দিলে তারা অন্য কোনো কাজও করবে না এবং তারা রয়্যালিটি দিতে পারবে না। এনসিটিবি বিষয়টি মন্ত্রণালয়কে অবহিত করে।