এবারের বিশ্ব ইজতেমায় সরকার দুই পক্ষকে দুই দিন করে মোট চার দিন সময় নির্ধারণ করে দেন। কিন্তু নিজেরা আগে পিছে আরো একদিন করে বাড়িয়ে মোট ছয় দিন ইজতেমা করার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন উভয় গ্রুপ। গত রোববার (১০ ফেব্রুয়ারি) বেফাকের শীর্ষ ওলামায়ে কেরামের এক বৈঠকে বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) থেকেই ইজতেমা শুরু করার ঘোষণা দেওয়া হয় এবং সে অনুযায়ি আজ আছরের পর থেকে শুরু হবে আম বয়ান।
পূর্বপ্রস্তুতি অনুযায়ী প্রথম পক্ষের বয়ান আজ বাদ ফজর শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সরকারের নির্দেশনার কারণে তা হয়নি। এ ব্যাপারে আয়োজক কমিটির সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়, সাদপন্থীদের আপত্তির কারণে আজ বাদ ফজর বয়ান শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেলেও আগত সাথীরা সময় কাটাচ্ছেন মসজিদওয়ারী বয়ান ও ব্যক্তিগত তেলাওয়াত-জিকিরে।
এ ব্যাপারে কাকরাইল মসজিদের খতিব ও তাবলিগের শূরা সদস্য মাওলানা যুবায়ের সাহেবের ছেলে মাওলানা হানজালার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ফজর বাদ বয়ান হওয়ার কথা থাকলেও দ্বিতীয় পক্ষের আপত্তির প্রেক্ষিতে সরকার আসরের পর শুরু করার নির্দেশ দেয়। সাথীরা এখন মসজিদওয়ারী বয়ানে সময় কাটাচ্ছেন। আজ আসরের পর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বয়ান শুরু হবে ইনশাআল্লাহ।
বয়ান বিলম্বিত হওয়ায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন ময়দানে আগত অনেকে। এ ব্যাপারে মধুমিতা রোডের সরকার বাড়ি মসজিদের খতিব মুফতি খুরশিদ আলম কাসেমী জানান, বয়ান বিলম্বিত হওয়ায় সাথীদের মধ্যে কিছুটা শংকা কাজ করছে। তবে শেষ পর্যন্ত ইজতেমা হচ্ছে এতেই খুশি আমরা।
প্রসঙ্গত, গতবারের মতো ভারতের মাওলানা সাদ এবারো ইজতেমায় অংশ নিচ্ছেন না। তার পরিবর্তে দেশের মুরব্বিরাই দুই পক্ষের আখেরি মুনাজাত করবেন।