যশোর জিলা স্কুল ও যশোর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ে তৃতীয় ও ষষ্ঠ শ্রেণির ভর্তিতে বিভিন্ন ধরনের শর্ত জুড়ে দেয়ায় কিন্ডারগার্টেনে অধ্যয়নরত প্রায় ৮ হাজার শিক্ষার্থী আবেদনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে উদ্বিগ্ন শিক্ষক এবং অভিভাবকরাও। ভর্তি নীতিমালায় না থাকলেও দুটি স্কুল কর্তৃপক্ষ এ শর্ত দিয়েছে। গত বছর কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারেনি। এবারও বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সরকারি নীতিমালা অনুসারে কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষার্থীদের আবেদনের সুযোগদানের জন্য বৃহস্পতিবার প্রেস ক্লাব যশোর মিলনাতয়নে এক সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেছেন যশোর কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা।
লিখিত বক্তব্যে অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইকবাল কবির খান বলেন, তিন বছর ধরে যশোর জিলা স্কুল ও যশোর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদন ফরম কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষার্থীদের দেয়া হয়নি। অথচ সরকারি বিধি মোতাবেক তৃতীয় ও ষষ্ঠ শ্রেণীর ভর্তিতে কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষার্থীদের সুযোগ উন্মুক্ত। কিন্ডারগার্টেন স্কুলে সরকারি পাঠ্যপুস্তকসহ আধুনিক ও যুগপোযোগী পাঠদানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের উপযুক্ত ও যোগ্য হিসেবে গড়ে তোলা হয়। শিক্ষার মানোন্নয়নের ক্ষেত্রে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোগের মাধ্যমে কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলো যথেষ্ট ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে আসছে। সব কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের প্রাণের দাবি, যশোর জিলা স্কুল ও যশোর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদনের ক্ষেত্রে সরকারি বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে দাবি জানাচ্ছি।
এক প্রশ্নের জবাবে ইকবাল কবির খান বলেন, যশোর সদর উপজেলায় ১৮০টি কিন্ডারগার্টেন স্কুল রয়েছে। এসব স্কুলের সাড়ে ৭ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। যারা ওই দুটি স্কুলে তৃতীয় ও ষষ্ট শ্রেণীতে ভর্তির আবেদন করতে চায়। কিন্তু কর্তৃপক্ষের জুড়ে দেয়া শর্তের কারণে আবেদন বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কারণ তিন বছর ধরে কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারেনি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন যশোর কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি শিখা বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক জুলেখা আক্তার, মনিরুজ্জামান, ইনামুল কবির, আবদুর রউফ, জসিম উদ্দিন প্রমুখ।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে যশোরের জেলা প্রশাসক আবদুল আওয়াল বলেন, ভর্তি পরীক্ষায় সবার আবেদনের সুযোগ দেয়া উচিত। তবে নীতিমালায় এ সংক্রান্ত কোনো নিষেধ আছে কিনা তা দেখতে হবে। আইনে যদি নিষেধাজ্ঞা না থাকে, তবে বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে। এ বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব।