আত্তীকৃত হচ্ছেন অধিগ্রহণকৃত ৪২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। আত্তীকরণের লক্ষ্যে ৩য় ধাপে অধিগ্রহণকৃত চট্টগ্রাম বিভাগের নোয়াখালী, চাঁদপুর, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, কক্সবাজার, লক্ষ্মীপুর জেলার ২২ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এবং রাজশাহী বিভাগের রাজশাহী,নওগাঁ, পাবনা, নাটোর, বগুড়া ও সিরাজগঞ্জ জেলার ২০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের তথ্য চেয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এসব প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষকদের আত্মীকরণের লক্ষ্যে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে। বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দৈনিক শিক্ষাকে নিশ্চিত করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র।
মন্ত্রণালয়ের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা দৈনিক শিক্ষাকে জানান, চট্টগ্রাম বিভাগের ২২টি ও রাজশাহী বিভাগের ২০টি মোট ৪২টি অধিগ্রহণকৃত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আত্মীকরণের লক্ষ্যে ১৫ জেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের কাছে চিঠি পাঠিয়ে এসব তথ্য চাওয়া হয়েছে। ১০ কার্যদিবসের মধ্যে এসব তথ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে বলা হয়েছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের।
তিনি আরও জানান, অধিগ্রহণের সময় মন্ত্রণালয়ে পাঠানো জেলা উপজেলা বাছাই কমিটির পূরণকৃত অনুলিপির সত্যায়িত কপি এবং জেলা উপজেলা বাছাই কমিটি সভার কার্যবিবরণীর সত্যায়িত কপি মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে বলা হয়েছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের। শিক্ষকদের আত্মীকরণ সংক্রান্ত কোন মামলা থাকলে তার তথ্যও পাঠাতে বলা হয়েছে।
এছাড়া খসড়া তালিকায় কোন শিক্ষকের নামের বানান ভুল থাকলে তা এসএসসি সনদ অনুযায়ী সংশোধন করতে বলা হয়েছে। তালিকার খসড়ায় যেসব বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের তথ্য নেই, সেসব বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের তথ্যও ইতিপূর্বে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো ছকের সত্যায়িত অনুলিপি পাঠাতে বলা হয়েছে।
এ কর্মকর্তা দৈনিক শিক্ষাকে আরও জানান, যাচাই-বাছাই কমিটির পূরণ করা ছক ও কার্যবিবরণীতে কোন প্রাকার সংশোধন, পরিবর্তন বা পরিমার্জন করা যাবে না। শিক্ষকদের তথ্যে কোন ধরণের পরিবর্তন দেখা গেলে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তারা দায়ী থাকবেন।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. বদরুল আলম এ বিষয়ে দৈনিক শিক্ষাকে বলেন, এটি অত্যন্ত ভালো একটি সংবাদ। সরকারে এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। একই সাথে বিধি মতে যেসব প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারি করা সম্ভব সেগুলো সরকারি করার দাবি জানান তিনি।