আদালত ও শিক্ষা বোর্ডের আদেশ উপেক্ষা করে পটুয়াখালীর বাউফলের কনকদিয়া স্যার সলিমুল্লাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষকদের বেতন-ভাতার বিলে স্বাক্ষরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতিষ্ঠানটির স্থগিত কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠেছে।
শিক্ষা বোর্ড ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ এপ্রিল কনকদিয়া স্যার সলিমুল্লাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজ পরিচালনা কমিটির অনুমোদন দেয় বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড। এরপর ২৫ এপ্রিল শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে প্রধান শিক্ষক ও সভাপতিসহ সদস্যদের বিরুদ্ধে কমিটি গঠনে নানা অনিয়মের অভিযোগে জেলা সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়ের করেন মো. শফিকুল ইসলাম নামে এক অভিভাবক। এতে কমিটির সব সদস্যকে কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেয় আদালত। শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শকও ৮ মে চিঠি পাঠায় কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করে।
কিন্তু আদালত ও শিক্ষা বোর্ডের এই আদেশ উপেক্ষা করে ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির বেতন-ভাতার কাগজে স্বাক্ষর করছেন স্থগিত হওয়া কমিটির সভাপতি বাউফল সরকারি কলেজের বাংলা বিষয়ের শিক্ষক (প্রভাষক) মো. রফিকুল ইসলাম।
কনকদিয়া স্যার সলিমুল্লাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) নার্গিস আক্তার বলেন, ‘স্থগিতাদেশের বিষয়টি জানানোর পরেও কোনো সমস্যা নেই উল্লেখ করে জুন মাসের বেতন-ভাতার কাগজে স্বাক্ষর করেন সভাপতি মহোদয়। এখানে আমার কিছুই করার নাই।’
এ ব্যাপারে মো. রফিকুল ইসলাম দৈনিক শিক্ষাকে বলেন, ‘বিধি সম্মতভাবেই জুন মাসের বেতন-ভাতায় স্বাক্ষর করা হয়েছে।’
কমিটি স্থগিতাদেশের সত্যতা স্বীকার করে বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক ড. মো. লিয়াকত হোসেন দৈনিক শিক্ষাকে বলেন, ‘স্থগিতাদেশ দেওয়ার পর থেকে ওই পরিচালনা কমিটির কার্যক্রমও স্থগিত। বেতন-ভাতার কোনো কাগজে ওই পরিচালনা কমিটির সভাপতি স্বাক্ষর করতে পারবেন না। জেলা প্রশাসক মহোদয় কিংবা তার প্রতিনিধির স্বাক্ষরে বিল উত্তোলনসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির সব কার্যক্রম পরিচালিত হবে।’