শিক্ষা খাতে দুর্নীতি বন্ধে জিরো টলারেন্স (শূন্য সহনশীলতা) নীতি গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। তিনি বলেন, বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস রোধে আরও কঠোর হব আমরা।
শুক্রবার (১১ জানুয়ারি) চট্টগ্রামে ফেরেন তিনি। সকালেই চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন উপমন্ত্রী।
মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রশ্নপত্র তৈরির পরিকল্পনা আছে। এতে প্রশ্নপত্র ফাঁসের আশঙ্কা থাকবে না। মুদ্রণের বিষয়টা কমিয়ে আনতে চিন্তাভাবনা চলছে। এছাড়াও প্রশ্নপত্র চাই- এই মানসিকতা পরিহার করুন। শ্রেণিকক্ষে পাঠদান এবং সিলেবাসের ওপর শিক্ষার্থীরা জোর দিলে এই সমস্যা থাকবে না।
তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রামে নতুন করে স্কুল-কলেজ সরকারিকরণে উদ্যোগ নেওয়া হবে। যেসব সরকারি স্কুল-কলেজ আছে সেখানে আরও অবকাঠামোগত উন্নয়ন করে আসনসংখ্যা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে।
শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, অর্থনীতির উপযোগী শিক্ষাব্যবস্থা সৃষ্টি হয়েছে বলে আমাদের সন্তানেরা ইন্টারনেটের মাধ্যমে কাজ করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে। এ ছাড়া কারিগরি শিক্ষা বিস্তৃত করতে দাতা সংস্থাসহ সরকারের অর্থায়নে ব্যাপক পরিকল্পনা নেওয়া হবে, যা আমাদের ইশতেহারে উল্লেখ আছে। আসলে আগামী দিনে শিক্ষা হবে কর্মমুখী। অর্থাৎ অর্থনৈতিকভাবে দক্ষতা বৃদ্ধির শিক্ষাব্যবস্থা প্রবর্তন করা আমাদের লক্ষ্য।
মতবিনিময় সভায় চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, সহসভাপতি খোরশেদ আলম , ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, নগর মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী হাসিনা মহিউদ্দীন উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: শিক্ষা উপমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল
শপথ নিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী নওফেল