ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ এনে পুনরায় নির্বাচনের দাবিতে উপাচার্য কার্যালয়ের সামনে পাঁচ ঘণ্টা অবস্থানের পর কর্মসূচি স্থগিত করেছে নির্বাচন বর্জন করা পাঁচটি প্যানেল। পরবর্তী কর্মসূচি নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে নির্ধারণ করা হবে বলে প্যানেলগুলোর নেতারা জানিয়েছেন। সোমবার বিকাল ৫টায় আন্দোলনরত পাঁচ প্যানেলের প্রার্থী ও সমর্থকদের পক্ষ থেকে এ ঘোষণা দেন ডাকসু নির্বাচনে কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের জিএস প্রার্থী রাশেদ খান এবং স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী প্যানেলের ভিপি প্রার্থী অরণি সেমন্তি খান।
রাশেদ খান বলেন, আমরা পাঁচ ঘণ্টা ধরে এখানে বসে আছি। আমরা ক্ষুব্ধ এবং হতাশ। বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য বা প্রক্টর কেউ আমাদের সঙ্গে কথা বলতে আসেনি। তারা নৈতিকভাবে এমন দুর্বল হয়ে গেছেন যে, শিক্ষার্থীদের সামনে আসার সৎ সাহসটা পর্যন্ত তাদের নেই। এটা খুবই লজ্জাজনক। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের মানসম্মান যা ছিল সব নষ্ট হয়ে গেছে এ নির্লজ্জ প্রশাসনের কারণে।
অরণি সেমন্তি খান বলেন, আমরা খুবই হতাশ। আমাদের শিক্ষক যারা আছেন অভিভাবক হিসেবে তাদের আমাদের সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল। কিন্তু এটা আমাদের জন্য লজ্জার যে, তারা আসেননি। তাদের এত ভয় কিসের? এত লুকানোর কী আছে? কারণ আমাদের সামনে আসার সৎ সাহস তাদের নেই।
পরবর্তী কর্মসূচি সম্পর্কে জানতে চাইলে রাশেদ খান বলেন, আমাদের যে পাঁচটি প্যানেল রয়েছে- সবার সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
এদিকে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের গলায় সমস্যা হওয়ায় কথা বলতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন সহকারী প্রক্টর আবদুর রহিম। পাঁচ প্যানেলের নেতাদের তাদের দাবিগুলো লিখিত আকারে উপাচার্য বরাবর পেশ করতে বলেন তিনি।
এর আগে পাঁচ দফা দাবিতে দুপুর ১২টার দিকে পাঁচ প্যানেলের নেতারা রাজু ভাস্কর্যের সামনে জড়ো হন। সেখান থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করেন তারা। এরপর উপাচার্য কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন।
তাদের পাঁচ দফা দাবিগুলো হলো- ১. অবিলম্বে নির্বাচন বাতিল, ২. পুনঃতফসিল ঘোষণা, ৩. ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে উপাচার্যের পদত্যাগ, ৪. নির্বাচন পরিচালনার সঙ্গে জড়িত সব শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীর পদত্যাগ ৫. শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে করা সব মামলা প্রত্যাহার