আবরারের ভাইকে সহযোগিতা দিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত: আইনমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক |

বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর প্রসঙ্গে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, অনেক ক্ষেত্রে (যেমন গুলি করে) এক সেকেন্ডই একজন মানুষকে খুন করা যায়। কিন্তু তাকে আইনি প্রক্রিয়ায় সাজা দিতে সময় লাগে। তিনি বলেন, আবরার ফাহাদের ছোট ভাই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোন সহযোগিতা চাইলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাকে নিশ্চয়ই সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত।

সে যদি মনে করে যে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরাপত্তা দরকার। নিশ্চয়ই সরকার সেটা ভেবে দেখবে। গতকাল বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তনে জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদের ৩০ বছর পূর্তি ও শিশু অধিকার সপ্তাহ-২০১৯ উপলক্ষে আয়োজিত শিশু সংলাপ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, আবরার হত্যাকাণ্ড অত্যন্ত মর্মান্তিক। আমাদের সমাজে এটা হওয়া উচিত নয় এবং এটা যাতে আর না হয় সেরকম বিচারিক ব্যবস্থা সরকার নিবে।

তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, বহুদিন আগে বুয়েটে একজন শিক্ষার্থীকে হত্যা করা হয়েছিল। তার বিচার কিন্তু আজ পর্যন্ত হয়নি। সেটার দাবীও আপনারা তোলেন। সরকার সে বিচারও করবে। এর আগে অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, এ কথা সর্বজন স্বীকৃত যে শিশুরাই উন্নয়নের চাবিকাঠি, শিশুরাই জাতি গঠনের মূল ভিত্তি। শিশুদের জীবনে ভালো একটি শুরু তাদের পরিণত বয়সে সমৃদ্ধি বয়ে আনে।

যার প্রভাব পড়ে পুরো জাতির উপর। অর্থাৎ শিশুদের সমতা এবং বৈষম্যহীন পরিবেশে যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার ওপর নির্ভর করছে আমাদের সমৃদ্ধ ভবিষ্যত। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর সাড়ে তিন বছরের সরকারে শিশুদের অধিকার, কল্যাণ, উন্নয়ন ও নিরাপত্তার বিষয়গুলোকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছিলেন। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ১৯৮৯ সালে শিশু অধিকার সনদ’ গ্রহণ করে।

এর অনেক আগেই জাতির পিতা ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশে শিশু আইন প্রণয়ন করেন। জাতির পিতা প্রাথমিক শিক্ষাকে জাতীয়করণ এবং অবৈতনিক ঘোষণা করেন। মুক্তিযুদ্ধে যে সব নারী ক্ষতিগ্রস্থ হন তাঁদের সন্তানদের লেখাপড়ার জন্য জাতির পিতা বৃত্তি প্রথা চালু করেছিলেন। তিনি বলেন, জাতির পিতার দেয়া মহান সংবিধানের ২৮(৪) অনুচ্ছেদে শিশুদের জন্য রাষ্ট্রকে বিশেষ বিধান প্রণয়নের কথা বলা হয়েছে।

সংবিধান, জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদ এবং শিশু আইন অনুযায়ী শিশুদের কল্যাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। শিশুদের কল্যাণে যে ধরনের পদক্ষেপ, পরিকল্পনা ও কর্মসূচি নেয়া প্রয়োজন তা সরকার ইতোপূর্বে যেমন নিয়েছে, আগামীতেও নিতে থাকবে। চাইল্ড পার্লামেন্টের স্পিকার মারিয়াম আক্তার জিম-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুন নাহার বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন - dainik shiksha ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে - dainik shiksha জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা - dainik shiksha রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0025649070739746