শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) নির্মাণাধীন ভবনে অবস্থানকারী প্রথম বর্ষের শতাধিক শিক্ষার্থী ৯ মাস ধরে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী হলেও আবাসন সংকটের কারণে টিএসসিতে অবস্থান করতে হচ্ছে তাদের। ভবনটিতে বিদ্যুৎ সংযোগ থাকলেও থাকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেই। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও তাদের দায়িত্ব নিতে চাইছে না।
গত বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, ভবনটির দ্বিতীয় তলার সিঁড়ি ও আশপাশের এলাকা ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। একটি কক্ষে শতাধিক শিক্ষার্থী গাদাগাদি করে অবস্থান করছে। কক্ষের দেয়াল জুড়ে জন্মেছে নানা ধরনের ছত্রাক।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে টিএসসির শৌচাগারের পানির লাইন বন্ধ রয়েছে। ফলে তাদের টয়লেট ও গোসলের জন্য নিয়মিত পাশের নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা হলে যেতে হয়। খাবার পানিরও ব্যবস্থা নেই। মেঝেতে গাদাগাদি করে বিছানা পেতে থাকতে হয়। এ কারণে রোগবালাই লেগেই থাকছে। প্রায়ই ডেঙ্গু, টাইফয়েড, জন্ডিসসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে তারা। পড়ার টেবিল না থাকায় পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটছে।
শিক্ষার্থীরা আরো অভিযোগ করে, নিরাপত্তাব্যবস্থা না থাকায় বহিরাগত ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী মিলে প্রতি রাতে মাদকের আসর বসায়। প্রতিনিয়ত চুরির ঘটনা ঘটছে। গত ৯ মাসে ১০টি মোবাইল ফোনসেটসহ বেশ কয়েকটি ল্যাপটপ চুরি হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা বলে, ‘আমরা প্রশাসনের কাছে গিয়ে বেশ কয়েকবার সমস্যা সমাধানের দাবি জানিয়েছি। কিন্তু প্রশাসন আমাদের দায়িত্ব নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।’
নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইসহাক এ বিষয়ে বলেন, ‘আমরা আশা করছি, আগামী বছরের শুরুতে নির্মাণাধীন ২০ তলা হলের আংশিক অংশ খুলে দেওয়া সম্ভব হবে। তখন শিক্ষার্থীদের আবাসনের সমস্যা থাকবে না।’