কোনো বইকে নিষিদ্ধ করা ঠিক নয় বলে মন্তব্য করেছে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি বলেন, ‘কোনো বই নিষিদ্ধ করা উচিত নয় এ বিষয়ে বিভিন্ন যুক্তিতর্ক দিয়ে ৪৮পৃষ্ঠার একটি প্রবন্ধ লিখেছিলেন কবি মিল্টন। আমি নিজেও মনে করি কোনো বই নিষিদ্ধ করা ঠিক নয়। কারণ যেকোনো বই থেকেও দু্ই-একটা মনি-মুক্তা পাওয়া যেতে পারে। তাই কোনো সৃষ্টিকেই ফেলে দেয়া উচিত নয়।’
নির্বাচনকে সামনে রেখে শনিবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে ‘বাংলাদেশ এলায়েন্স ফর উইমেন লিডারশিপ’ (বিডল) কর্তৃক একটি ঘোষণাপত্র ও সুপারিশমালা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিডল সভানেত্রী সাবেক রাষ্ট্রদূত নাসিম ফেরদৌসের সভাপতিত্বে এ সময় আরও বক্তব্য দেন, জাতিসংঘের প্রতিনিধি মিয়া সেপো।
কনক প্রকাস্থ নামের সিলেটের এক মেধাবী নারীর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ১৮৫৮ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত অর্থাৎ ১৬০ বছরে কনকই একমাত্র নারী যিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশনারি পরীক্ষায় প্রথম হয়েছিলেন। কনক প্রকাস্থকে অনুকরণ করে বর্তমানের নারী শিক্ষার্থীদের সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আল্লাহ প্রদত্ত একটা মেধা পাওয়া যায়। একটাকে বিকশিত করার দায়িত্ব নিজের হাতে। শুধু কবিতা আর গদ্য মুখস্ত করলেই হবে না। নিজের মনে জ্ঞানের জগতে প্রবেশের অবস্থা তৈরি করতে হবে। প্রচুর বই পড়তে হবে।
অনুষ্ঠানে জাতীসংঘের প্রতিনিধি মিয়া সেপো বলেন, যথাযথ না হলেও বাংলাদেশে নারীর অগ্রযাত্রা বেশ ভালো। তবে নারীর কাজকে এখনো অর্থনৈতিকভাবে সেভাবে মূল্যয়ন করা হয় না বলে মন্তব্য করেন তিনি। নির্বাচনে নারীদের আরও অংশগ্রহণ বাড়ানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান সেপো।
বিডল সভানেত্রী নাসিম ফেরদৌস বলেন, ‘নারীর স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে না পারলে দেশের অগ্রগতি অসম্পূর্ণ থেকে যাবে। তাই টেকসই উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন নারী পুরুষকে এক সঙ্গে এগিয়ে চলার আহ্বান জানান তিনি।’
তিনি দাবি করে বলেন, ‘সংসদ এবং অন্যান্য স্থানে ৩৩ শতাংশ নেতৃস্থানীয় পদে নারীদের নিয়োগ করতে হবে। ২০২১ খ্রিস্টাব্দে ৫০ শতাংশে উন্নীত করতে হবে। প্রত্যেক রাজনৈতিক দলকে নিজ নিজ দলীয় এবং সরকারের নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে ২০২১ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে ৩৩ শতাংশ এবং ২০৪১ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে ৫০ শতাংশ নারীর অংশগ্রহণ সুনিশ্চিত করতে হবে। নারী প্রার্থীদের নির্বাচনে বর্ধিত হারে মনোনয়ন প্রদান করতে হবে।’