আমি রাজাকার : একটি আলোকচিত্র

মুহম্মদ জাফর ইকবাল |

১.আমি শেষবার এই কথাটি শুনেছিলাম ১৯৭১ সালের সেপ্টেম্বর কিংবা অক্টোবর মাসে। তাড়া খাওয়া পশুর মতো দেশের নানা জায়গা ঘুরে শেষ পর্যন্ত ঢাকায় এসে যখন আশ্রয় নিয়েছি তখন দেশের অন্য যেকোনো জায়গায় যেকোনো সময় পাকিস্তানি মিলিটারি যেকোনো মানুষকে অবলীলায় মেরে ফেলতে পারতো। সেই হিসেবে ঢাকা শহর খানিকটা নিরাপদ। দেশটা ঠিকমত চলছে দেখানোর জন্য এখানে প্রকাশ্যে এক ধরনের শান্তিপূর্ণ অবস্থা দেখানো হতো। তারপরেও কম বয়সীদের অনেক বিপদ, তারা রাস্তাঘাটে বেশি বের হয় না। মাথায় লম্বা চুল থাকা রীতিমত বিপজ্জনক। একদিন আমি বিপদ কমানোর জন্য নীলক্ষেতে একটা নাপিতের দোকানে চুল কাটাচ্ছি। তখন হঠাত্ করে সেখানে একটা মানুষ এসে ঢুকলো এবং আমার পাশের খালি চেয়ারটাতে খুব আয়েশ করে বসে নাপিতের সঙ্গে আলাপ জুড়ে দিল। আলাপের বিষয়বস্তু সে নিজে, এখন সে কী করে, তার কতো রকম সুযোগ-সুবিধা এবং ক্ষমতা ইত্যাদি ইত্যাদি। নাপিত একসময় মানুষটিকে জিজ্ঞেস করল, ‘আপনি কী করেন’? মানুষটি দাঁত বের করে হেসে বলল, ‘আমি রাজাকার’।

মানুষটি খানিকক্ষণ গালগল্প করে যেভাবে এসেছিল সেভাবে চলে গেল। নাপিত তখন একটা লম্বা নিঃশ্বাস ফেলে আমাকে বলল, ‘হারামজাদা রাজাকারের ভাবটা দেখেছেন? শালার ব্যাটার কথা শুনলে মনে হয় দেশটা তার বাপের সম্পত্তি’!

১৯৭১ সালে রাজাকারদের সম্পর্কে এর চাইতে সম্মানজনক কোনো বিশেষণ ব্যবহার করা হয়েছে বলে আমি মনে করতে পারি না। রাজাকার কী বস্তু সে ব্যাপারে এখনো যাদের সন্দেহ আছে তাদেরকে আমি আমাদের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে যেতে বলব। সেখানে এক জায়গায় একটা রাজাকারের অন্য একটা রাজাকারের কাছে লেখা একটা চিঠি বড় করে টানানো আছে। সেখানে একজন পাকিস্তানি মেজরের নাম উল্লেখ করে বলা আছে, মেজর সাহেব ভালো ‘মাল’ পছন্দ করেন— তাই প্রত্যেকদিন তাকে যেন একটি করে মেয়েকে ধরে এনে দেওয়া হয়!

আমরা যারা ১৯৭১ দেখেছি তাদের কাছে রাজাকারদের চাইতে ঘৃণিত কোনো প্রাণী আছে বলে মনে করতে পারি না। রাজাকারেরা নিজেরাও সেটা জানতো। তাই তারাও যে খুব বড় গলায় গর্ব করে বুকে থাবা দিয়ে ‘আমি রাজাকার’ বলে বেড়িয়েছে সে রকম মনে করতে পারি না।

তাই ২০১৮ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের কোটাবিরোধী আন্দোলনের ফলাফল হিসেবে যখন দেখি একজন ছাত্র নিজের বুকে ‘আমি রাজাকার’ কথাটি লিখে গর্বভরে দাঁড়িয়ে আছে আমি সেটি বিশ্বাস করতে পারিনি। মাথায় আগুন ধরে যাওয়া বলে একটা কথা আছে, এই কথাটির প্রকৃত অর্থ কী আমি এই ছবিটি দেখে প্রথমবার সেটি অনুভব করেছি।

২.ঢাকা শহরের মানুষকে জিম্মি করে আন্দোলন করার জন্যে আমি যথেষ্ট বিরক্ত হয়ে সপ্তাহ দুয়েক আগে একটা লেখা লিখেছিলাম। (সেই সময়ে আমার মেয়ে হাসপাতালে ছিল তাই ঢাকা শহরকে জিম্মি করে ফেললে হাসপাতালে রোগীদের কী ধরনের কষ্ট হয় আমি নিজে সেটা জানতে পেরেছি)। সেই লেখার কারণে অনেক ছাত্রছাত্রী প্রতিবাদ করে আমার কাছে লম্বা লম্বা মেইল পাঠিয়েছিল। আমার লেখালেখির প্রতিক্রিয়া আমি কখনো পড়ি না, আমার ধারণা তাহলে একসময়ে নিজের অজান্তেই পাঠকদের প্রশংসাসূচক বাক্যের জন্যে লিখতে শুরু করব। পাঠকরা আমার লেখা পড়ে কী ভাবছে আমি যদি সেটি না জানি তাহলে নিজের মতো করে লিখতে পারব। কাজেই কোটাবিরোধী আন্দোলনের কর্মীদের লেখা সবগুলো মেইল আমি না পড়েই ফেলে দিয়েছি। তারা কী লিখেছে আমি জানি না। তবে আমার সেই লেখাটি আমি যখন লিখেছিলাম তখন আমি জানতাম না এই বহুল আলোচিত কোটাবিরোধী আন্দোলনের অন্য একটি সাফল্য হচ্ছে বাংলাদেশের মাটিতে তরুণ সম্প্রদায়কে রাজাকার হিসেবে অহংকার করতে শেখানো, তাহলে অবশ্যই আমি ঢাকা শহরকে জিম্মি করার মতো সাধারণ একটা বিষয় নিয়ে লিখতাম না। একটি সরকারি চাকরি পাওয়ার জন্য বাংলাদেশে জন্ম নেয়া তরুণদের পচে গলে পূতিগন্ধময় রাজাকার নামক আবর্জনায় পরিণত হয়ে যাওয়া নিয়ে আমার ঘৃণাটি প্রকাশ করতাম।

কিন্তু প্রশ্ন হলো বিষয়টি আমার জানতে এতো দেরি হলো কেন? আমি ফেসবুক করি না, সামাজিক নেটওয়ার্কে সময় নষ্ট করি না সত্য কিন্তু আমি তো খুবই সম্ভ্রান্ত একটা ইংরেজি দৈনিক নিয়মিত পড়ি, ইন্টারনেটে খুবই জনপ্রিয় নিউজ পোর্টালে দিনে কয়েকবার চোখ বুলাই তাহলে কোটাবিরোধী আন্দোলন করে যে বাংলাদেশের মাটিতে নতুন রাজাকারের পুনর্জন্ম হয়েছে, এই দেশের তরুণেরা নিজেদের রাজাকার হিসেবে পরিচয় দিয়ে গর্ব করতে শিখেছে আমাদের সংবাদমাধ্যম সেই খবরটি আমাদেরকে কেন জানালো না? তারা যে সামাজিক নেটওয়ার্কের কোনো তথ্য প্রকাশ করে না তা তো নয়। আমাকে একটা বিভ্রান্ত তরুণ খুন করতে গিয়ে ব্যর্থ হওয়ার পর ফেসবুকে আফসোস করে কিংবা আক্রোশ প্রকাশ করে যে উক্তিগুলো লেখা হয়েছে সেগুলো গুরুত্বপূর্ণ পত্রিকায় বিশাল বড় করে ছাপানো হয়েছে সেটা আমি নিজের চোখে দেখেছি। এখানে বরং একটা উল্টো ব্যাপার ঘটেছে। কোটাবিরোধী আন্দোলনটি যে একটি ‘অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায়ের আন্দোলন’ তার উপর আমি বুদ্ধিজীবীদের বড় বড় লেখা দেখেছি অর্থাত্ সংবাদমাধ্যম এই আন্দোলনটিকে একটি ইতিবাচক আন্দোলন হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছে। এই আন্দোলনের কারণে যে মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মান হয়েছে এবং রাজাকারদের পুনর্জন্ম হয়েছে তাতে এই দেশের সম্ভ্রান্ত দৈনিক পত্রিকার কিছু আসে যায় না। কেন? এই প্রশ্নের উত্তর আমাকে কে দিবে?

৩.প্রথম যখন কোটা সংস্কারের আন্দোলন শুরু হয় এবং সাংবাদিকেরা আমার বক্তব্য জানার আগ্রহ দেখায় তখন আমি সংস্কারের পক্ষে মত দিয়েছি এবং সাথে সাথে মনে করিয়ে দিয়েছি কোটার বড় একটি অংশ মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের জন্যে, কাজেই কোটার বিরুদ্ধে কথা বলার সময় খুব সাবধানে কথা বলতে হবে। কোনোভাবে যেন আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি অসম্মান দেখানো না হয়। আমাদের দেশের মুক্তিযোদ্ধাদের আমরা কিছুই দিতে পারিনি। এখন যদি জীবনের শেষ মুহূর্তে তাদের প্রতি অসম্মান দেখাই সেটা কোনোভাবে মেনে নেওয়া যাবে না।

আমি ঠিক যে বিষয়টি নিয়ে শঙ্কিত ছিলাম সেটাই ঘটেছে। কোটাবিরোধী আন্দোলন মুক্তিযোদ্ধাদের চরমভাবে অসম্মান করেই শেষ হয়ে যায়নি। বাংলাদেশের ইতিহাসে যেটা আগে কখনো ঘটেনি সেটাও ঘটেছে— ‘রাজাকার’ শব্দটিকে সম্মানিত করা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মান করে এবং রাজাকারদের জন্যে ভালোবাসা দেখিয়ে যে কথাগুলো উচ্চারিত হয়েছে সেগুলো এতো অশালীন যে আমার পক্ষে মুখ ফুটে উচ্চারণ করা সম্ভব না। যদি কারো কৌতূহল থাকে ইন্টারনেটে ঘাঁটাঘাঁটি করে সেগুলো বের করে দেখতে পারে।

আমি কখনোই বিশ্বাস করব না যে, এই আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ছেলেমেয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি অসম্মান দেখিয়েছে, রাজাকারদের জন্যে ভালোবাসা দেখিয়েছে। সে রকম কিছু ঘটলে আমাদের সবার গলায় দড়ি দিতে হবে। কিন্তু যেটুকু ঘটেছে সেটাও তো কোনোভাবে ঘটার কথা নয়। যে বিষয়টি আমাকে ক্ষুব্ধ করেছে সেটি হচ্ছে সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের কেউ বিষয়টার প্রতিবাদ করেনি। যারা আন্দোলন করছে তাদের কেউ বলেনি আমরা কখনোই মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি অসম্মান দেখাইনি, রাজাকারদের জন্য ভালোবাসা দেখাইনি, যারা দেখিয়েছে তাদের জন্য আমাদের ভেতরে ঘৃণা ছাড়া আর কিছু নেই।

আমি বহুদিন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে আছি, আমি অনেক আন্দোলন দেখেছি, সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলন সবসময়েই ন্যায়সঙ্গত আন্দোলন হয়, যদি আন্দোলনটি দানা বাঁধতে শুরু করে তখন রাজনৈতিক দলগুলো সেই আন্দোলনটি নিজেদের কূটকৌশলে ব্যবহার করার জন্য ‘হাইজ্যাক’ করে নেয়। সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা যদি যথেষ্ট বুদ্ধিমান হয় তাহলে আন্দোলনটির নেতৃত্ব নিজেদের হাতে রাখতে পারে। যদি তারা বুদ্ধিমান না হয় তখন নেতৃত্ব হাতছাড়া হয়ে যায়। এই আন্দোলনটির বেলায় কী ঘটেছে আমি জানি না। আমার একজন সহকর্মী একাত্তর টেলিভিশনে এই আন্দোলনের একজন নেতার সাক্ষাত্কার দেখিয়েছে সেটা দেখে হতাশ হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে। রাজাকারপ্রীতির বিষয়টা তখন খানিকটা বোঝা যায়।

আমরা যারা ১৯৭১ দেখেছি তাদের জন্য মুক্তিযুদ্ধ ব্যাপারটি একটি তীব্র আবেগের বিষয়। মুক্তিযোদ্ধার অসম্মান কিংবা রাজাকারের পুনর্বাসন আমাদের কাছে শুধুমাত্র একটি ঘটনা নয়— এটি আমাদের কাছে জাতীয় বিপর্যয়। নতুন প্রজন্ম কখনো সেটি আমাদের মতো করে অনুভব করতে পারবে কী না আমরা জানি না। যদি নিজের একটা চাকরির জন্য তারা মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মান করে, রাজাকারদের সঙ্গে একাত্ম হয়ে যায় সেটি আমরা কখনো মেনে নেব না। আমি যতদূর জানি বেশ অনেকদিন থেকে এই কোটাবিরোধী আন্দোলন চলে আসছিলো কিন্তু যে কারণেই হোক আন্দোলনটি সেভাবে দানা বেঁধে ওঠেনি। তারপর হঠাত্ করে এক রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা রণক্ষেত্রে রূপান্তরিত হলো, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরের বাসাটি গুঁড়ো গুঁড়ো করে দেওয়া হলো এবং দেখতে দেখতে আন্দোলনটি দানা বেঁধে উঠল। বিশ্ববিদ্যালয়ের যে ছাত্রছাত্রীরা জন্মেও এই চাকরির পেছনে দৌড়াবে না, আমি দেখলাম তারাও হঠাত্ করে এই কোটাবিরোধী আন্দোলনে যোগ দেয়ার জন্যে ছুটে গেল!

যারা বিষয়টা লক্ষ করেছেন তারা সবাই কারণটা অনুমান করতে পারেন। এই আন্দোলনটা দানা বেঁধে ওঠার অন্যতম কারণ হচ্ছে ছাত্রলীগের দৌরাত্ম্য! (এখন হয়তো অনেকের মনে নেই, বিএনপি-জামায়াত আমলে দৌরাত্ম্যটি ছিল ছাত্রদল এবং শিবিরের)। মোটামুটি বলা যেতে পারে এই আন্দোলনটা ছিল ছাত্রলীগের দৌরাত্ম্যের বিরুদ্ধে একটা প্রতিবাদ। বছর কয়েক আগে আমি নিজের চোখে ‘জয়বাংলা’ এবং ‘জয় বঙ্গবন্ধু’ শ্লোগান দিয়ে ছাত্রলীগের মাস্তানদের শিক্ষকদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়তে দেখেছি। কাজেই তারা ছাত্রছাত্রীদের ওপর কী পরিমাণ নির্যাতন করতে পারে সেটা অনুমান করা কঠিন কিছু নয়। কাজেই পুলিশের পাশাপাশি যখন ছাত্রলীগের কর্মীরাও সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছে আন্দোলনটা দেখতে দেখতে একটা জনপ্রিয় আন্দোলনে পরিণত হয়েছে। ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে একসাথে দাঁড়ানোর সুযোগ এর আগে কখনো আসেনি।

কিন্তু এর পরের অংশটি বেদনাদায়ক। ছাত্রলীগের ওপর যে বিতৃষ্ণাটুকু ছিল সেটি খুবই কৌশলে মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মান করার কাজে ব্যবহার করা হলো এবং দেখতে দেখতে সেটি রাজাকারদের প্রতিষ্ঠা করার কাজে লাগিয়ে দেয়া হলো।

আমার দুঃখ শুধু এক জায়গায়, হাজার হাজার ছাত্রছাত্রীর কেউ এর প্রতিবাদ করে কিছু করল না, কেউ কিছু বলল না!

যারা বিসিএস ক্যাডারে চাকরি পায় তাদের ট্রেনিং দেওয়ার জন্যে সাভারে বিশাল একটা প্রতিষ্ঠান আছে। সেই প্রতিষ্ঠানটি মাঝে মাঝেই আমাকে আমন্ত্রণ জানায় এই বিসিএস ক্যাডারদের উদ্দেশ্যে কিছু বলার জন্য। আমি সুযোগ পেলে সেখানে যাই এবং এই তরুণ প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলি। বেশির ভাগ কথা হয় দেশ নিয়ে, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে। কথা বলা শেষ হলে অবধারিতভাবে ছবি তোলা শুরু হয়, আমি আগ্রহ নিয়ে সবার সঙ্গে ছবি তুলি।

কোটাবিরোধী এই আন্দোলনটি ছিল আসলে চাকরি পাওয়ার আন্দোলন। এই সফল আন্দোলনের পর আন্দোলনের নেতা-নেত্রীদের কেউ কেউ নিশ্চয়ই চাকরি পাবে এবং তাদের কেউ কেউ নিশ্চয়ই সাভারে ট্রেনিং নিতে যাবে। এটা এমন কিছু অস্বাভাবিক নয় যে হয়তো আমি তাদের উদ্দেশ্যে কিছু কথা বলব।

কথা শেষ হলে কোনো একজন নেতা হয়তো এসে আমাকে পরিচয় দিয়ে বলবে, আমি ২০১৮ সালে কোটাবিরোধী আন্দোলন করেছিলাম, খবরের কাগজে আমার ছবি ছাপা হয়েছিল। আমার বুকে লেখা ছিল: ‘আমি রাজাকার!’

তখন আমি অবধারিতভাবে গলায় আঙুল দিয়ে তার উপর হড় হড় করে বমি করে দেব।

লেখক :কথাসাহিত্যিক, শিক্ষক, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
চুয়েটে আন্দোলন স্থগিত, সড়কে যান চলাচল শুরু - dainik shiksha চুয়েটে আন্দোলন স্থগিত, সড়কে যান চলাচল শুরু স্কুল-কলেজ খুলছে রোববার, ক্লাস চলবে শনিবারও - dainik shiksha স্কুল-কলেজ খুলছে রোববার, ক্লাস চলবে শনিবারও প্রাথমিকের প্রশ্ন ফাঁসে অল্পদিনে কয়েকশ কোটি টাকা আয় - dainik shiksha প্রাথমিকের প্রশ্ন ফাঁসে অল্পদিনে কয়েকশ কোটি টাকা আয় কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে পরীক্ষার আগেই হবু শিক্ষকদের হাতে পৌঁছে যায় উত্তরপত্র: ডিবি - dainik shiksha পরীক্ষার আগেই হবু শিক্ষকদের হাতে পৌঁছে যায় উত্তরপত্র: ডিবি দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সভা ৩০ এপ্রিল - dainik shiksha ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সভা ৩০ এপ্রিল বুয়েটে সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়লো হিজবুত তাহরীরের লিফলেট বিতরণ - dainik shiksha বুয়েটে সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়লো হিজবুত তাহরীরের লিফলেট বিতরণ এইচএসসির ফল জালিয়াতির অডিয়ো ফাঁস - dainik shiksha এইচএসসির ফল জালিয়াতির অডিয়ো ফাঁস please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0068221092224121