ঘূর্ণিঝড় আম্পানে প্রভাবে ঝালকাঠিতে বৃষ্টি বেড়েছে। সুগন্ধা ও বিষখালী নদীতে জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে নদীর তীরের এলাকাবাসী। জেলা প্রশাসনও দুর্যোগ মোকাবেলায় ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। জেলার ২৭৪টি সাইক্লোন শেল্টারে এ পর্যন্ত প্রায় ২ হাজার মানুষ ও ৪ শতাধিক গবাদী পশু আশ্রয় নিয়েছে।
প্রতিটি আশ্রয় কেন্দ্রে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে সকলে অবস্থান করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। এছাড়াও আশ্রয় কেন্দ্রে শুকনো খাবার ও ওষুধ সরবারহ করা হয়েছে। প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে মেডিকেল টীম কাজ করছে।
উপকূলীয় জেলা ঝালকাঠিতে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে মঙ্গলবার রাত থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে এবং সুগন্ধা ও বিষখালী নদীর জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে।
নদীর পানি বৃদ্ধিতে জেলার কাঠালিয়া উপজেলা লঞ্চঘাট এলাকা, আউরা বাজার, জয়খালী, চিংড়াখালী, বড় কাঠালিয়া এলাকার ব্যাপক ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে।
নদীর তীরবর্তী বাসিন্দাদের নিকটস্থ আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়াসহ তাদের জানমাল নিরাপত্তায় প্রশাসনের পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, আনসার ও মহল্লাদার চৌকিদারসহ স্বেচ্চাসেবক বাহিনী কাজ করছেন।
করোনা প্রতিরোধে গৃহবন্দী ও কর্মহীন মানুষের মাঝে নতুন করে ঘুর্ণিঝড় আম্পান ঝালকাঠির মানুষের মাঝে চরম শংকা সৃষ্টি করেছে।
ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্পান মোকাবেলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব রকমের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।