চুয়াডাঙ্গায় বাংলা বিভাগের শিক্ষক দেখছেন আরবি বিষয়ের খাতা। চুয়াডাঙ্গা ফাযিল মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটেছে। বাংলা বিভাগের প্রভাষক আবু জায়েদ আনছারী আরবি বিষয়ের খাতা মূল্যায়ন করছেন। ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে চলমান ফাযিল (স্নাতক) পরীক্ষার আরবি বিষয়ের প্রথমপত্র ও দ্বিতীয়পত্রের খাতা মূল্যায়নের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কৌশলে নিয়ে আসেন প্রভাষক আনছারী।
জানা গেছে, মাদরাসার অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ হজের ছুটিতে থাকায় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিষয়ের প্রভাষক আবুল হাসেম। ১২ সেপ্টেম্বর ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে শুরু হয় ফাযিল (স্নাতক) পরীক্ষা। ইসলামিক স্টাডিজ বিষয়ের পরীক্ষা শেষে মূল্যায়নের জন্য কৌশলে বোর্ড কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে খাতা নিয়ে আসেন আবু জায়েদ আনছারী। বিষয়টি জানাজানি হলে সমালোচনার ঝড় ওঠে অভিভাবক ও সচেতন মহলে। বাংলা বিষয়ের প্রভাষক কীভাবে আরবি বিষয়ের খাতা মূল্যায়ন করেন, তা নিয়ে চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
এ ঘটনায় বাংলা বিভাগের অভিযুক্ত প্রভাষক আবু জায়েদ আনছারী বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, আরবি খাতাগুলো ফেরত দিয়ে আসব। তবে কীভাবে বাংলা বিষয়ের প্রভাষক হয়ে আরবি খাতা পেলেন? এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ মীর জান্নাত আলী জানান, ‘প্রতিষ্ঠান প্রধানের স্বাক্ষরকৃত সুপারিশ ছাড়া কোনো খাতাই বোর্ড থেকে পান না কেউ। তবে আমি ছুটিতে থাকার কারণে হয়তো ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের স্বাক্ষরিত সুপারিশ নিয়ে বাংলা বিষয়ের প্রভাষক আবু জায়েদ আনছারী আরবি বিষয়ের খাতা এনেছেন।’
এ বিষয়ে ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক সিরাজুল ইসলাম জানান, ঘটনাটি শোনার পর অভিযুক্ত বাংলা প্রভাষককে ২৭ অক্টোবর বোর্ডে এসে আরবি বিষয়ের খাতা জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে তিনি গাফিলতি করলে প্রথমে অধ্যক্ষকে খাতা উদ্ধারের জন্য বলা হবে। তাতে কোনো ফল না হলে জেলার পুলিশ সুপারকে ওই খাতা উদ্ধারসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলা হবে। এ ছাড়া অভিযুক্ত আবু জায়েদ আনছারীর বিরুদ্ধে সাময়িকভাবে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।’