ই-রেজিস্ট্রেশনকৃত প্রতিষ্ঠানের ধরণ নিশ্চিত করার নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক |

শূন্যপদের তথ্য দিতে ই-রেজিস্ট্রেশনকৃত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে পুনরায় ধরণ নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছে এনটিআরসিএ। আগামী ১১ জানুয়ারির মধ্যে ই-রেজিস্ট্রেশনের নির্ধারিত ওয়েবসাইটে নিজ নিজ ইউজার আইড ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে লগইন করে প্রতিষ্ঠানের ধরণ নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত পুনরায় ই-রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ দেয়া হয়েছে বাদপড়া প্রতিষ্ঠানগুলোকে।

জানা গেছে, তৃতীয় চক্রে সব বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ প্রস্তুতি শুরু করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। এ জন্য প্রতিষ্ঠানগুলোতে আবারো শূন্যপদের চাহিদা চাওয়া হবে। আর শূন্যপদের তথ্য দিতে সব বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাধ্যতামূলকভাবে ই-রেজিস্ট্রেশন করতে বলেছে এনটিআরসিএ। ইতোমধ্যে অনেক প্রতিষ্ঠান ই-রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম শেষ করে ইউজার আইডি পাসওয়ার্ড সংগ্রহ করেছে। তাদের পুনরায় ধরণ নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। 

বিষয়টি নিশ্চিত করে এনটিআরসিএর একজন ঊর্ধতন কর্মকর্তা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, শূন্যপদের তথ্য দিতে ইতোমধ্যে যারা ই-রেজ্রিস্টেশন করেছে, সেইসব  শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে পুনরায় ধরণ নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছে এনটিআরসিএ। আগামী ১১ জানুয়ারির মধ্যে ই-রেজিস্ট্রেশনের নির্ধারিত ওয়েবসাইটে নিজ নিজ ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে লগইন করে প্রতিষ্ঠানের ধরণ নিশ্চিত করতে হবে।  

এর কারণ হিসেবে ওই কর্মকর্তা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ই-রিকুইজিশনের সময় শূন্যপদের ভুল তথ্য নিয়ে আগের তিক্ত অভিজ্ঞতা আছে এনটিআরসিএর। তাই, ই-রিকুইজিশন সময় স্কুল, কলেজ বা মাদরাসাগুলোকে শুধু নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পদ দেখানো হবে। যেমন, স্কুলের ই-রেজিস্ট্রেশনের সময় কলেজের পদগুলো দেখানো হবে না।  কলেজের ই-রেজিস্ট্রেশনের সময় মাদরাসা বা কারিগরি প্রতিষ্ঠানের পদ দেখানো হবে না। ভুল এড়াতে এ পদ্ধতি অবলম্বন করা হচ্ছে। তাই ই-রেজিস্ট্রেশন করা প্রতিষ্ঠানগুলোকে তার ধরণ অর্থাৎ প্রতিষ্ঠানটি স্কুল বা কলেজ বা মাদরাসা বা কারিগরি প্রতিষ্ঠান কিনা তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। ১১ জানুয়ারির মধ্যে বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে প্রতিষ্ঠানগুলোকে। 

তিনি দৈনিক শিক্ষাডটকমকে আরও বলেন, এদিকে যেসব প্রতিষ্ঠান ই-রেজিস্ট্রেশন করেনি তাদের ফের ই রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ দেয়া হয়েছে। গত ১৮ নভেম্বর ই-রেজিস্ট্রেশনের বর্ধিত সময় শেষ হলেও ফের সুযোগ দেয়া হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে। আজ ৮ জানুয়ারি ই-রেজিস্ট্রেশনের বর্ধিত সময় শেষ হবার কথা থাকলেও তিন দিন অর্থাৎ ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত তা আবারও বাড়ানো হয়েছে। তবে, ১১ জানুয়ারির পর ই-রেজিস্ট্রেশনের সময় বড়ানোর কোন আবেদন গ্রহণ যোগ্য হবে না।  বুধবার (৮ জানুয়ারি) এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।

এর আগে গত ২৭ অক্টোবর থেকে ই-রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া শুরু হয়ে ১১ নভেম্বর পর্যন্ত চলে। কিন্তু পরে ১ম দফায় ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত ই-রেজিস্ট্রেশনের সময় দেয়া হয়েছিল। পরে ২ জানুয়ারি থেকে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত শূন্যপদের তথ্য দিতে ই-রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ দেয়া হয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে। আজ সে সময় ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়িয়েছে এনটিআরসিএ।  সূত্র জানায়, আইডি ও পাসওয়ার্ড সংক্রান্ত আবেদনের প্রেক্ষিতে ই রেজিস্ট্রেশনের সময় ফের বাড়ানো হয়েছে। ই রেজিস্ট্রেশনের সময় আর বাড়ানো হবে না বলেও জানিয়েছে এনটিআরসিএ সূত্র। 

জানা গেছে, আগামী ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন করা প্রতিষ্ঠানগুলোও তথ্য হালানাগাদ করার সুযোগ পাবে। ই-রেজিস্ট্রেশন শেষে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের কাছে ই রিকুইজিশন বা শূন্যপদের তথ্য চাওয়া হবে। ই-রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও প্রতিষ্ঠান প্রধানদের জন্য পৃথক তিনটি নির্দেশিকা প্রকাশ করেছিল এনটিআরসিএ। ই রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত কার্যক্রম উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে যোগাযোগ করে সম্পন্ন করতে হবে। নির্ধারিত সময় শেষ হলে ইরেজিস্ট্রেশনের সময় বাড়ানো কোন আবেদন গ্রহণ করবে না এনটিআরসিএ।

কর্মকর্তারা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ৩য় নিয়োগ চক্রের মাধ্যমে বেসরকারি শিক্ষক সুপারিশের কাজ শুরু হতে যাচ্ছে। তাই, প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে শূন্যপদের তথ্য চাওয়া হবে। বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এন্ট্রি লেভেলের শূন্যপদের তথ্য দেয়ার পূর্বশর্ত হলো প্রতিষ্ঠানের ই-রেজিস্ট্রেশন করা। তাই প্রতিষ্ঠান প্রধানদের ইরেজিস্ট্রেশন করতে বলা হয়েছে। শিক্ষক নিয়োগের কাজ সুষ্ঠু ও স্বচ্ছভাবে সম্পন্ন করাতে শূন্যপদের তথ্য সঠিকভাবে এনটিআরসিএকে দেয়া বাধ্যতামূলক। কোনো ধরনের ভুল-ভ্রান্তি এড়ানোর জন্য সংশ্লিষ্ট সব বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ই-রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক। যে সব বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ই-রেজিস্ট্রেশন এখনও সম্পন্ন করা হয়নি, সে সব প্রতিষ্ঠান প্রধানকে ই-রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। ই-রেজিস্ট্রেশন করে প্রতিষ্ঠানগুলোকে আইডি ও পাসওয়ার্ড সংরক্ষণ করতে বলা হয়েছে। একই সাথে যেসব প্রতিষ্ঠানের তথ্য হালনাগাদ বা সংশোধন করা প্রয়োজন সেসব প্রতিষ্ঠানকে ই-রেজিস্ট্রেশনের সময় তথ্য হালনাগাদ করতে বলা হয়েছে। এনটিআরসিএর নির্ধারিত ওয়েবসাইটে (http://ngi.teletalk.com.bd/ntrca/app/) গিয়ে ই রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন প্রতিষ্ঠান প্রধানরা।

এনটিআরসিএর কর্মকর্তারা আরও জানান, ই-রেজিস্ট্রেশনের বিষয়ে জেলা, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। শিক্ষা কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করে ই-রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম সম্পন্ন করতে বলা হয়েছে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের। আগামী ৮ জানুয়ারির মধ্যে ই-রেজিস্ট্রেশন করতে বলা হয়েছে প্রতিষ্ঠানগুলোকে। 

কর্মকর্তারা আরও বলেন, ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড সংরক্ষণ করতে বলা হয়েছে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের। কেউ যাতে এই ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে জালিয়াতি করতে না পারে তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের। এ বিষয়ে যাবতীয় তথ্য দিতে হেল্পলাইন সেবা দিচ্ছে এনটিআরসিএ। ০২-৪১০৩০১৩১ এবং ০২-৪১০৩০৩৯৩ নম্বর ফোন করে প্রতিষ্ঠান প্রধানরা ই-রেজিস্ট্রেশন ও তথ্য হালানাদকরণের বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

কর্মকর্তারা আরও জানান, ই-রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও প্রতিষ্ঠান প্রধানদের জন্য পৃথক তিনটি নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে এনটিআরসিএ। 


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
হাইকোর্টের আদেশ পেলে আইনি লড়াইয়ে যাবে বুয়েট: উপ-উপাচার্য - dainik shiksha হাইকোর্টের আদেশ পেলে আইনি লড়াইয়ে যাবে বুয়েট: উপ-উপাচার্য প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ: তৃতীয় ধাপের ফল প্রকাশ হতে পারে আগামী সপ্তাহে - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ: তৃতীয় ধাপের ফল প্রকাশ হতে পারে আগামী সপ্তাহে ভূমির জটিলতা সমাধানে ভূমিকা রাখবেন নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা - dainik shiksha ভূমির জটিলতা সমাধানে ভূমিকা রাখবেন নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সর্বজনীন শিক্ষক বদলি চালু হোক - dainik shiksha সর্বজনীন শিক্ষক বদলি চালু হোক ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের বিএসসির সমমান দিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কমিটি - dainik shiksha ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের বিএসসির সমমান দিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কমিটি রায় জালিয়াতি করে পদোন্নতি: শিক্ষা কর্মকর্তা গ্রেফতার - dainik shiksha রায় জালিয়াতি করে পদোন্নতি: শিক্ষা কর্মকর্তা গ্রেফতার কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0064220428466797