টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমায় যোগ দিয়ে আরও দুই মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। রোববার (১৯ জানুয়ারি) ভোরে শনিবার রাতে তাদের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে এবারের দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমায় যোগ দিয়ে রোববার পর্যন্ত ৮ জন মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কন্ট্রোল রুমের মিডিয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার মো. মনজুর রহমান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে রোববার ভোরে গাইবান্ধার গবিন্দগঞ্জ থানার চাদপাড়া দূর্গাদাহ এলাকার শাহ আলম (৬৫) ও শনিবার রাতে বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগে গাইবান্ধার সাঘাটা থানার কামালের হাট এলাকার আবুল কাসেমের ছেলে মো. সোবাহান (৭০) মারা গেছেন। বাদ ফজর তার জানাযা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এছাড়া শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিলে নোয়াখালীর হাতিয়া থানার আজিম নগরের মফিজুল ইসলামের ছেলে মো. মনির উদ্দিন (৪০) হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
এরআগে শুক্রবার রাতে আরও ৪ মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার রাতে মৃত্যুবরণকারী মুসল্লিরা হলেন, রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার উসমানপুর এলাকার বার্ধক্যজনিত কারণে হাজী জয়নাল আবেদীনের ছেলে হুমায়ুন কবীর (৬৫), ঝিনাইদহ সদর থানার কালাহাট গোপালপুর গ্রামের আ ফ ম জহুরুল আলম (৬২) ও ঢাকার উত্তরা পশ্চিম থানার নলভোগ ফজলু মিয়ার ছেলে ইলিয়াস মিয়া (৮৫), হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা থানার কামালের পাড়া গ্রামের ভিক্ষু হাজীর ছেলে আব্দুস ছোবহান (৬৫)। শনিবার বাদ ফজর তাদের মধ্যে দুইজনের নামাজে জানাযা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
এরআগে বৃহস্পতিবার রাতে ইজতেমা ময়দানে যোগ দিয়ে বার্ধক্যজনিত রোগে সুনামগঞ্জের দোয়ারা বাজার উপজেলার চানপুর এলাকার কাজী আলাউদ্দিন (৬৬)।
অপরদিকে গত বুধবার রাতে বিশ্ব ইজতেমায় যাওয়ার পথে টঙ্গীতে দূর্ঘটনায় নরসিংদীর বেলাবো উপজেলার সুরুজ মিয়া (৫৫) এবং গাইবান্দার ফুলছড়ি উপজেলার গুলজার হোসেন (৪৫) নামের তিনজনের মৃত্যু হয়।