ইজিবাইক থেকে নামিয়ে ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা

মাদারীপুর প্রতিনিধি |

মাদারীপুরে দশম শ্রেণির মাদরাসা ছাত্রী দীপ্তি আক্তার হত্যা মামলার প্রধান আসামি সাজ্জাদ হোসেনকে (৪০) গ্রেপ্তার ও হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে র‌্যাব। র‌্যাবের দাবি, দীপ্তিকে একটি ইজিবাইকের চালক ইজিবাইক থেকে নামিয়ে বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরে লাশটি গুম করতে একটি পরিত্যক্ত পুকুরে ইট বেঁধে ডুবিয়ে রাখা হয়। শনিবার (২০ জুলাই) সকালে র‌্যাব-৮ মাদারীপুর ক্যাম্পে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানানো হয়। 

সংবাদ সম্মেলনে আতিকা ইসলাম বলেন, ৯ জুলাই মাদারীপুর শহরের মাস্টার কলোনি এলাকায় দীপ্তি তার বোনের বাসায় বেড়াতে আসে। ১১ জুলাই দুপুরে সে তার প্রবাসী চাচার বাসায় বেড়াতে যাবে বলে বের হয়। ওই দিন বিকেলে মাদারীপুর শহরের ইটেরপুলে বোনের বাসা থেকে ইজিবাইকে করে সে চরমুগরিয়ার দিকে যাচ্ছিল। পূর্ব খাগদী এলাকায় ইজিবাইক চালক সাজ্জাদ দীপ্তিকে একা পেয়ে তার মুখ চেপে নিজের বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করেন। পরে দীপ্তির গলায় ইট বেঁধে, ছুড়ি দিয়ে পেট কেটে লাশ বাড়ির পাশে একটি পরিত্যক্ত পুকুরে ডুবিয়ে রাখেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, আর দীপ্তির ব্যবহৃত পোশাক একটি সিমেন্টের বস্তার মধ্যে ভরে সাজ্জাদের বাড়ির কাছের একটি পুকুরে ফেলেন। ১৩ জুলাই মাদারীপুর সদর উপজেলার পূর্ব খাগদী এলাকার একটি পরিত্যক্ত পুকুর থেকে ১৫ বছর বয়সী অজ্ঞাতনামা এক কিশোরীর মুখ পোড়ানো লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরের দিন ১৪ জুলাই দীপ্তির বাবা বাদী হয়ে মাদারীপুর সদর থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করেন। 

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনার পর থেকেই হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন ও আসামিদের গ্রেপ্তার করতে সদর থানার পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাব-৮ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রইছ উদ্দিনের নেতৃত্বে একটি দল তদন্ত শুরু করে। তদন্তের একপর্যায় ১৮ জুলাই ওই পরিত্যক্ত পুকুর থেকে একটি সিমেন্টের ব্যাগে দীপ্তির ব্যবহৃত পোশাক, বোরকা ও জুতা উদ্ধার করে। এসব আলামতের সূত্র ধরেই সাজ্জাদকে গ্রেপ্তার করা হয়। সাজ্জাদ পেশায় একজন ইজিবাইকচালক। এর আগে তিনি ১৯৯২ সালে ৭ বছরের শিশুকে গলাটিপে হত্যার মামলায় ১৮ বছর কারাভোগ করেন।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
মাধবীলতা নয়, স্কুলের নাম কচুগাড়ি পুনর্বহালের দাবি - dainik shiksha মাধবীলতা নয়, স্কুলের নাম কচুগাড়ি পুনর্বহালের দাবি খুদে শিক্ষার্থীর হাতে অস্ত্র কেনো! - dainik shiksha খুদে শিক্ষার্থীর হাতে অস্ত্র কেনো! এইচএসসির ফরম পূরণ শুরু আজ - dainik shiksha এইচএসসির ফরম পূরণ শুরু আজ মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষা হতে পারে জানুয়ারিতে - dainik shiksha মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষা হতে পারে জানুয়ারিতে মুজিবনগর দিবসে সব স্কুল-কলেজে আলোচনা - dainik shiksha মুজিবনগর দিবসে সব স্কুল-কলেজে আলোচনা মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষক নিবন্ধন সনদের ফটোকপি পোড়ানো কেমন প্রতিবাদ! - dainik shiksha মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষক নিবন্ধন সনদের ফটোকপি পোড়ানো কেমন প্রতিবাদ! কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0027260780334473