ইবতেদায়ি শিক্ষার্থীদেরও দেয়া হবে খাবার

নিজস্ব প্রতিবেদক |

কারিগরি পাশাপাশি মাদরাসা শিক্ষাতে জোর দিচ্ছে সরকার। তাই মাদরাসা শিক্ষার্থীদের ঝরেপড়া রোধে বিভিন্ন কর্মসূচি নেয়া হচ্ছে। এর অংশ হিসেবে ইবতেদায়ি শিক্ষার্থীদেরও খাবার দেয়া হবে। তাই ইবতেদায়ি শিক্ষার্থীদের ফিডিং প্রকল্প হাতে নেয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে প্রকল্পটি এডিপিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরকে প্রকল্পের ডিপিপি তৈরি করতে বলেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ সূত্র দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

জানা গেছে, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রকল্পের আওতায় স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসার শিক্ষার্থীরা খাবার পেলেও সংযুক্ত ইবতেদায়ি শিক্ষার্থীরা ফিডিং কর্মসূচির বাইরে ছিল। নতুন এ প্রকল্প নেয়া হলে সংযুক্ত ইবতেদায়ি মাদরাসার শিক্ষার্থীরা খাবার পাবে। নতুন প্রকল্পের আওতায় সংযুক্ত ও স্বতন্ত্র উভয় ধারার শিক্ষার্থীরাই খাবার পাবেন বলে মন্তব্য সংশ্লিষ্টদের। 

সূত্র জানায়, সারাদেশের মাদরাসাগুলোর উন্নয়নে প্রকল্প হাতে নেয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মুনশী শাহাবুদ্দিন আহমেদ। তাই, ইবতেদায়ি মাদরাসা শিক্ষার্থীদের ঝরেপড়া রোধে ফিডিং চালুর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ লক্ষ্যে ‘ইবতেদায়ি মাদরাসা শিক্ষার্থী ফিডিং প্রকল্প’ নামে একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। প্রকল্পটি ইতোমধ্যে এডিপিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তিন বছর মেয়াদী প্রকল্পটি চলতি অর্থবছর থেকে শুরু হয়ে ২০২২ অর্থবছরের শেষ পর্যন্ত চলবে। 

সূত্র আরও জানায়, প্রকল্পটির ডিপিপি তৈরি করতে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরকে লিখিত নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। গত ৪ আগস্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর চিঠি পাঠায় কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ। আগামী ১৮ আগস্টের মধ্যে ইবতেদায়ি মাদরাসা শিক্ষার্থী ফিডিং প্রকল্পের ডিপিপি তৈরি করে প্রস্তাব কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগে পাঠাতে বলা হয়েছে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের।

যদিও এ প্রকল্পের সুফল পেতে প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও ৬ মাস থেকে ১ বছর অপেক্ষা করতে হতে পারে বলে দৈনিক শিক্ষা ডটকমকে জানিয়েছে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের একাধিক সূত্র। তাঁদের মতে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে টাকা বরাদ্দের সম্মতি পেলে তবেই এ প্রকল্পের সুফল পাওয়া শুরু করবে মাদরাসাগুলো। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ব্যয়ের প্রাক্কলন অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো এবং তা অনুমোদন হয়ে আসা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শিক্ষায় বরাদ্দ বেড়েছে, আরো বাড়বে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha শিক্ষায় বরাদ্দ বেড়েছে, আরো বাড়বে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সমাবর্তনের অজুহাতে সনদ আটকে রাখা যাবে না - dainik shiksha সমাবর্তনের অজুহাতে সনদ আটকে রাখা যাবে না হিটস্ট্রোকে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু - dainik shiksha হিটস্ট্রোকে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু চুয়েটে আন্দোলন স্থগিত, সড়কে যান চলাচল শুরু - dainik shiksha চুয়েটে আন্দোলন স্থগিত, সড়কে যান চলাচল শুরু প্রাথমিকের প্রশ্ন ফাঁসে অল্পদিনে কয়েকশ কোটি টাকা আয় - dainik shiksha প্রাথমিকের প্রশ্ন ফাঁসে অল্পদিনে কয়েকশ কোটি টাকা আয় রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট - dainik shiksha রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0064811706542969