ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) কর্মকর্তা সমিতির সাধারণ সভায় দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (৯ নভেম্বর) বিকেল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিসিতে অনুষ্ঠিত সমিতির ৮ম সাধারণ সভায় জুনিয়র ও সিনিয়র কর্মকর্তাদের মধ্যে এ হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে কর্মকর্তারা সহকারী রেজিস্ট্রারদের ৩৫ হাজার ৫০০ টাকা এবং উপ-রেজিস্ট্রারদের ৫০ হাজার টাকার বেতন স্কেলসহ নানা দাবি নিয়ে আন্দোলন করে আসছে। গত ২ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪৭তম সিন্ডিকেট সভায় বেতন স্কেলের বিষয়টি শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা সাপেক্ষে মেনে নেয় প্রশাসন। গৃহীত সিদ্ধান্তে সকল কর্মকর্তাদের একই বেতন স্কেল না দিয়ে ডিগ্রির ভিত্তিতে বেতন স্কেল দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। প্রশাসনের এ সিদ্ধান্ত কর্মকর্তা সমিতির একাংশ মেনে নিলেও বাকিরা সর্বজনীন বেতন স্কেলের দাবি জানায়। পরে কর্মকর্তা সমিতির নেতাদের পক্ষ থেকে এ সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখার জন্য বলা হয়। সমিতির সাধারণ সভায় সকল সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে তাদের মতামত জানাবেন বলে সমিতির নেতারা জানায়। সমিতির অনুরোধে ভিসি নিজ ক্ষমতাবলে সিদ্ধান্তটি স্থগিত করেন।
এদিকে, সিন্ডিকেটের ওই সিদ্ধান্তের পর্যালোচনার জন্য শনিবার সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় জামিরুল নামের এক কর্মকর্তা বক্তব্য দেয়ার সময় সদ্য পদোন্নতি পাওয়া কর্মকর্তা উকিল উদ্দিন, বিপুল, শিমুল, সেলিম, গোলাম, বাদলসহ কয়েকজন কর্মকর্তা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। পরে তারা জামিরুলকে মারতে স্টেজের উপরে উঠে যায়। এসময় সিনিয়র কর্মকর্তা পরাগ, আলমগীরসহ কয়েকজন কর্মকর্তা তাদের আটকাতে যায়। ঘটনার এক পর্যায়ে দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এসময় উপ-রেজিস্ট্রার আলমগীর হোসেন শারীরিকভাবে লাঞ্চিত হয় বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে কর্মকর্তা সমিতির সাধারণ সম্পাদক মীর মোর্শেদুর রহমান বলেন, ‘প্রশাসন নীল নকশার মাধ্যমে কর্মকর্তাদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করছে। কিছু প্রশাসনের অনুগত কর্মকর্তারা তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়নের চেষ্টা চালালে সাধারণ কর্মকর্তারা এতে বাধা দেয়।’