ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রাকিবসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। এঘটনায় ছাত্রলীগ সম্পাদক রাকিবকে আটক করেছে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে অবাঞ্ছিত ঘোষিত শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল ইসলাম পলাশ ও সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রাকিব ক্যাম্পাসে ঢোকার চেষ্টা করে। এসময় বিদ্রোহী গ্রুপের নেতাকর্মীরা তাদের বাঁধা দিলে প্রধান ফটকের সামনে এ সংঘর্ষ বাধে। এসময় ৩ টি ককটেল ফাটান নেতাকর্মীরা। ক্যাম্পাসে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে।
জানা যায়, শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ক্যাম্পাসে ঢুকতে পারে এমন সংবাদে সকাল থেকেই ক্যাম্পাসে অবস্থান নেন বিদ্রোহী গ্রুপের নেতাকর্মীরা। পরে দুপুরে লাঠি সোটা নিয়ে বহিরাগতসহ প্রায় ২০ জন কর্মী নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক দিয়ে ক্যাম্পাসে ঢোকার চেষ্টা করেন সভাপতি-সম্পাদক। এমসময় পদবঞ্চিত গ্রুপের নেতাকর্মীরা তাদের বাধা দিলে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে পদবঞ্চিত গ্রুপের হামলায় ছত্রভঙ্গ হয়ে ক্যাম্পাস ছেড়ে পালায় সভাপতি-সম্পাদকদের নেতাকর্মীরা।
৩ টি ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটায় উভয় গ্রুপের কর্মীরা। সংঘর্ষে শাখা ছাত্রলীগ সম্পাদকসহ দুই গ্রুপের অন্তত ২০ জন গুরুতর আহত হন। এসময় সাধারণ সম্পাদক রাকিবকে বেধড়ক পেটান বিদ্রোহী গ্রুপের নেতাকর্মীরা। পরে আহতদের বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসাকেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কুষ্টিয়া মেডিকেলে পাঠানো হয়।
ক্যাম্পাসে ককটেল বিষ্ফোরনের ঘটনায় ছাত্রলীগ সম্পাদক রাকিবকে আটক করেছে কুষ্টিয়া থানা পুলিশ। এছাড়া ঘটনা তদন্তে ড. সেলিনা নাসরিনকে আহ্বায়ক করে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন ড. তপন কুমার জোদ্দার ও মোস্তফা জামান হ্যাপি।
এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্ম্মন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ‘এ ঘটনায় ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত করে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা হবে।’
এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি রবিউল ইসলাম পলাশ বলেন, ‘সকালে আমাদের কর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে আমরা বিক্ষোভ মিছিল করছিলাম। সেখানে তারা আমাদের ওপর হামলা করলে সম্পাদক সহ আমাদের কয়েকজন কর্মী আহত হন।’
বিদ্রোহী গ্রুপের ছাত্রলীগ নেতা ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ‘এই কমিটি অর্থের বিনিময়ে নিয়ে আসা হয়েছে। তাই সাধারণ কর্মীরা তাদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে। তারা বহিরাগতসহ ক্যাম্পাসে এলে সাধারণ কর্মীরা তাদের প্রতিহত করেছে।’