আগামী ২০ আগস্ট বৃহস্পতিবার শেষ হচ্ছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারী ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সেলিম তোহার মেয়াদ। পরবর্তী সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের এ গুরুত্বপূর্ণ দুটি পদে কে নিয়োগ পাবেন তা নিয়ে কৌতূহলী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। তবে জানা গেছে উপাচার্য পদে নিয়োগ পেতে ১১ জন শিক্ষক লবিংয়ে ব্যস্ত রয়েছেন সরকারের বিভিন্ন মহলে।
জানা যায়, গত ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দের ২১ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২তম উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারী। একই সাথে আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. সেলিম তোহাকে কোষাধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের গত ১১ জন উপাচার্যেই বিভিন্ন অভিযোগে অপসারিত হলেও প্রথমবারের মতো মেয়াদ শেষ করতে যাচ্ছেন ড. আসকারী। তবে দ্বিতীয়বারের মতো উপাচার্য পদে নিয়োগ পেতে তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
এছাড়া এ প্রতিযোগিতায় রয়েছেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহিনুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যপক ড. সেলিম তোহা, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি ও সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. নাসিম বানু ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের একাংশের সভাপতি অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান।
এছাড়াও যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইবারের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুস সাত্তার, ইবির সাবেক কোষাধ্যক্ষ ও ঢাবির ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি বিভাগের অধ্যাপক ড. আফজাল হোসেন, ইবির সাবেক শিক্ষক ও বর্তমানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মনিরুজ্জামান, রাবির মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহ আজম শান্তনু, ও রাবির অধ্যাপক ড. পি এম শফিকুল ইসলাম শফিকও নিয়োগ পেতে দৌড়ঝাপ করছেন।
এদিকে কোষাধ্যক্ষ পদের নিয়োগ পেতে লবিংয়ে ব্যস্ত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. কাজী আখতার হোসেন, শাপলা ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান, বঙ্গবন্ধু পরিষদের একাংশের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মাহবুবুল আরফিন, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন, জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল হক স্বপন, ছাত্র উপদেষ্টা ও বাংলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. সাইদুর রহমান, অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূইয়া ও আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহজাহান মন্ডল।