ইরানে চলতি বছর সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত হতে পারে। এ তথ্য জানিয়েছে দেশরটির সরকার। যে কোনো ধরনের জনসমাগম থেকে করোনা সংক্রমণ বাড়তে পারে বলে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে। এছাড়া বিয়েতেও নিষেধাজ্ঞা এনেছে ইরান সরকার। শুধু বিয়েই নয়,জানাজাসহ লোক সমাগম হয়, এমন সব অনুষ্ঠানও আনা হয়েছে নিষেধাজ্ঞার আওতায়।
দেশটির টাস্কফোর্স কমিটি মনে করছে, ভাইরাসের বিস্তার রোধে যদি এখনই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হয় তবে এই মহামারীতে ইরানে ৫০ থেকে ৬০ হাজার মানুষের মৃত্যু হতে পারে।
দেশটির প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে এ ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন বন্ধের আহ্বান জানানোর পর পুলিশ রাজধানী তেহরানে বিয়ে এবং জানাজার মতো সব ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করেন। খবর মিডল ইস্ট মনিটরের।
গত বছর ডিসেম্বরে চীনের উহান শহর থেকে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া শুরু হতেই করোনা মহামারির বিস্তার রোধে কিছুদিন লকডাউনে ছিল ইরান। কিন্তু অর্থনীতি বাঁচাতে গত এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে দেশটির সরকার ধীরে ধীরে লকডাউন শিথিলের সিদ্ধান্ত নেয়। এতে অর্থনীতির চাকা কিছুটা সচল হলেও ভাইরাসের বিস্তার উদ্বেগজনক হারে বাড়তে শুরু করে।
ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেয়া তথ্যানুযায়ী দেশে কোভিড-১৯ মহামারিতে এখন পর্যন্ত ১৩ হাজার ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। মোট আক্রান্ত ২ লাখ ৫৯ হাজার ৬৫২ জন। রুহানি বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই দেশজুড়ে অনুষ্ঠান আয়োজন এবং গণজমায়েত বন্ধ করতে হবে। হোক সেটা জানাজা, বিয়ে বা পার্টি। এটা উৎসব বা সেমিনার আয়োজনের সময় নয়।’
রুহানি বলেন, ‘সব চেয়ে সহজ উপায় সব কিছু বন্ধ করে দেয়া। কিন্তু কয়েকদিন পরেই জনগণ এর প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আসবে, যার ফলে গোলযোগ সৃষ্টি হবে। ক্ষুধা, দারিদ্র্য এবং চাপ তৈরি হবে। এ কারণে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য দীর্ঘদিন বন্ধ রাখা সম্ভব হবে না।